তোফায়েল রাজ্জাক সুরঞ্জিত আমু সরকারের হ্যান্ডপিক্ড বলেছেন গাফফার চৌধুরী
তোফায়েল রাজ্জাক সুরঞ্জিত আমু সরকারের হ্যান্ডপিক্ড বলেছেন গাফফার চৌধুরী
নিউজ ওয়ার্ল্ড, নিউইয়র্ক থেকে
বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুী বলেছেন, গণতন্ত্র উত্তরণে আওয়ামী লীগ চাইলে অনেক কিছুই করতে পারতো। কিন্তু রাজ্জাক, সুরঞ্জিত, তোফায়েল ও আমুর কারণে এটা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ তারা হচ্ছে সরকারের আজ্ঞাবহ বা হ্যান্ডপিক্ড রাজনীতিক।
দুর্নীতির কারণে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস নেই এদের। জলিলকে গ্রেফতার করা হলো অথচ আমুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ সত্ত্বেও ধরাছোঁয়ার বাইরে তিনি। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে বড় পার্টিগুলোকে স্থবির করে দেয়া।
যাতে কেউ সরকারকে আর চ্যালেঞ্জ করতে না পারে। নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে এক সৌজন্য সভায় তিনি একথা বলেন। গত মঙ্গলবার জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশ প্লাজায় আয়োজন করা হয় এই সৌজন্য সভার। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাব সভাপতি বাংলা পত্রিকা সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে শেষ করে দেয়ার কাজে বর্তমান সরকার অনেকটা সফল হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ শক্ত ভূমিকা নিলে সরকারের পায়ের নিচে মাটি থাকতো না।
কিন্তু সরকার বা সরকারপন্থীরা কর্মীদের চাপে আন্দোলনের কথা বললেও এটা তাদের মনের কথা নয়। যার ফলে আন্দোলন হচ্ছে না। তিনি বলেন, অনেকেই ১/১১ প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন। কিন্তু আমি সেটা মনে করি না। কারণ বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে যে মহাজোট হয়েছিল তাতে কোনো ষড়যন্ত্রই টিকতো না। জোটের নেতা-কর্মীদের গণরোষের কারণে দেশ ছেড়ে পালাতে হতো। এ কারণে বর্তমান অবস্থা তাদের রক্ষা করেছে। খালেদা জিয়া আপোসহীন নেত্রী হিসেবে আবার বেরিয়ে আসতে পারেন। এই অবস্থাই সৃষ্টি করা হচ্ছে।
আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, দুর্নীতির নামে ২ হাজার অসাধারণ ও ২ লাখ সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করা হলেও সেনাপ্রধান নিজেকে নিজে জেনারেল উপাধি দিয়ে মহাদুর্নীতি করেছেন।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে, কোন রণক্ষেত্রে যুদ্ধ করে তিনি স্বঘোষিত এই উপাধি নিলেন সেটা বলতে হবে।
এছাড়া সরকার প্রধান আমার ব্যক্তিগত বন্ধু হলেও যুক্তরাষ্ট্রে তার রিয়েল এস্টেট ব্যবসা রয়েছে।
আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো একজন চিহ্নিত রাজাকার। তিনি বলেন, বিগত দু বছরে ভারতের দেয়া ৮টি ঘোড়া ছাড়া জাতিকে আর কিছুই দিতে পারেনি বর্তমান সরকার। অথচ বিএনপির সময় জিনিসপত্রের দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিল। আর আওয়ামী লীগতো দাম বাড়তেই দেয়নি। সংস্কারের নামে তারা জাতির ওপর নিজস্ব এজেন্ডা চাপিয়ে দিতে চায়। অথচ নির্বাচনই হচ্ছে বড় সংস্কার। কারণ এর মাধ্যমে জনগণই তাদের পছন্দ অপছন্দকে প্রকাশ করে। বিএনপি-আওয়ামী লীগের সংস্কারপন্থীদের 'হ্যান্ড মেইড' নেতা আখ্যায়িত করে এদের সঙ্গে সংলাপে কোনো ফল হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেনের সা¤প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেনের দুর্বলতার কারণেই ৪ জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়। 'হি ইজ এ কাওয়ার্ড'।
কাউকে গ্রেফতার করা হলেই বিচারের রায় না হওয়া পর্যন্ত তাকে দোষী বলা যায় না। একজন আইনজীবী হিসেবে এটা তিনি জানেন। তারপরও দুই নেত্রীকে দুর্বৃত্ত বলছেন তিনি। এতে তার দালালী প্রকাশ হয়ে পড়েছে।
গাফফার চৌধুরী জানান, তিনি দেশে গিয়ে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেন। সেই কর্মকর্তা তাকে জানান যে, ড. কামাল ইনকাম ট্যাক্স নিয়ে অনিয়ম করেছেন। সরকার তাকে সংশোধনের সুযোগ দিয়েছে।
গাফফার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য ভারতকে আর কোনোভাবেই সহায়ক শক্তি মনে করার কারণ নেই। কারণ ইসরাইলের সাথে তাদের সামরিক ও অর্থৎনেতিক চুক্তির কারণে এখন সেদেশের অনেকে কিছুই নিয়ন্ত্রণ করছে ইসরাইলী মোসাদ। এটা গোটা উপমহাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকী স্বরূপ বলে বন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন অধুনালুপ্ত প্রবাসী সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ। সভা পরিচালনা করেন প্রেসক্লাবের সমন্বয়ক মাহফুজুর রহমান।
http://www.daily-dinkal.com/details.php?nid=18362&pubdate=2008-05-01
নিউজ ওয়ার্ল্ড, নিউইয়র্ক থেকে
বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুী বলেছেন, গণতন্ত্র উত্তরণে আওয়ামী লীগ চাইলে অনেক কিছুই করতে পারতো। কিন্তু রাজ্জাক, সুরঞ্জিত, তোফায়েল ও আমুর কারণে এটা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ তারা হচ্ছে সরকারের আজ্ঞাবহ বা হ্যান্ডপিক্ড রাজনীতিক।
দুর্নীতির কারণে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস নেই এদের। জলিলকে গ্রেফতার করা হলো অথচ আমুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ সত্ত্বেও ধরাছোঁয়ার বাইরে তিনি। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে বড় পার্টিগুলোকে স্থবির করে দেয়া।
যাতে কেউ সরকারকে আর চ্যালেঞ্জ করতে না পারে। নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে এক সৌজন্য সভায় তিনি একথা বলেন। গত মঙ্গলবার জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশ প্লাজায় আয়োজন করা হয় এই সৌজন্য সভার। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাব সভাপতি বাংলা পত্রিকা সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে শেষ করে দেয়ার কাজে বর্তমান সরকার অনেকটা সফল হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ শক্ত ভূমিকা নিলে সরকারের পায়ের নিচে মাটি থাকতো না।
কিন্তু সরকার বা সরকারপন্থীরা কর্মীদের চাপে আন্দোলনের কথা বললেও এটা তাদের মনের কথা নয়। যার ফলে আন্দোলন হচ্ছে না। তিনি বলেন, অনেকেই ১/১১ প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন। কিন্তু আমি সেটা মনে করি না। কারণ বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে যে মহাজোট হয়েছিল তাতে কোনো ষড়যন্ত্রই টিকতো না। জোটের নেতা-কর্মীদের গণরোষের কারণে দেশ ছেড়ে পালাতে হতো। এ কারণে বর্তমান অবস্থা তাদের রক্ষা করেছে। খালেদা জিয়া আপোসহীন নেত্রী হিসেবে আবার বেরিয়ে আসতে পারেন। এই অবস্থাই সৃষ্টি করা হচ্ছে।
আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, দুর্নীতির নামে ২ হাজার অসাধারণ ও ২ লাখ সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করা হলেও সেনাপ্রধান নিজেকে নিজে জেনারেল উপাধি দিয়ে মহাদুর্নীতি করেছেন।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে, কোন রণক্ষেত্রে যুদ্ধ করে তিনি স্বঘোষিত এই উপাধি নিলেন সেটা বলতে হবে।
এছাড়া সরকার প্রধান আমার ব্যক্তিগত বন্ধু হলেও যুক্তরাষ্ট্রে তার রিয়েল এস্টেট ব্যবসা রয়েছে।
আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো একজন চিহ্নিত রাজাকার। তিনি বলেন, বিগত দু বছরে ভারতের দেয়া ৮টি ঘোড়া ছাড়া জাতিকে আর কিছুই দিতে পারেনি বর্তমান সরকার। অথচ বিএনপির সময় জিনিসপত্রের দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিল। আর আওয়ামী লীগতো দাম বাড়তেই দেয়নি। সংস্কারের নামে তারা জাতির ওপর নিজস্ব এজেন্ডা চাপিয়ে দিতে চায়। অথচ নির্বাচনই হচ্ছে বড় সংস্কার। কারণ এর মাধ্যমে জনগণই তাদের পছন্দ অপছন্দকে প্রকাশ করে। বিএনপি-আওয়ামী লীগের সংস্কারপন্থীদের 'হ্যান্ড মেইড' নেতা আখ্যায়িত করে এদের সঙ্গে সংলাপে কোনো ফল হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেনের সা¤প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেনের দুর্বলতার কারণেই ৪ জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়। 'হি ইজ এ কাওয়ার্ড'।
কাউকে গ্রেফতার করা হলেই বিচারের রায় না হওয়া পর্যন্ত তাকে দোষী বলা যায় না। একজন আইনজীবী হিসেবে এটা তিনি জানেন। তারপরও দুই নেত্রীকে দুর্বৃত্ত বলছেন তিনি। এতে তার দালালী প্রকাশ হয়ে পড়েছে।
গাফফার চৌধুরী জানান, তিনি দেশে গিয়ে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেন। সেই কর্মকর্তা তাকে জানান যে, ড. কামাল ইনকাম ট্যাক্স নিয়ে অনিয়ম করেছেন। সরকার তাকে সংশোধনের সুযোগ দিয়েছে।
গাফফার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য ভারতকে আর কোনোভাবেই সহায়ক শক্তি মনে করার কারণ নেই। কারণ ইসরাইলের সাথে তাদের সামরিক ও অর্থৎনেতিক চুক্তির কারণে এখন সেদেশের অনেকে কিছুই নিয়ন্ত্রণ করছে ইসরাইলী মোসাদ। এটা গোটা উপমহাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকী স্বরূপ বলে বন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন অধুনালুপ্ত প্রবাসী সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ। সভা পরিচালনা করেন প্রেসক্লাবের সমন্বয়ক মাহফুজুর রহমান।
http://www.daily-
হে আল্লাহ, অত্যাচারী,প্রতিক্রিয়শীল মঈনের অদক্ষ আর তাবেদার
উপদেষ্টাদের হাত থেকে বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষকে মুক্ত কর
Be a better friend, newshound, and know-it-all with Yahoo! Mobile. Try it now.
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch format to Traditional
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe
.
__,_._,___