আকবর আলি খান দেশে ফিরছেন ২৪ জুলাই
স্টাফ রিপোর্টার : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ও রেগুলেটরি রিফর্মস কমিশনের চেয়ারম্যান ড. আকবর আলি খান ২৪শে জুলাই দেশে ফিরবেন। গত ৫ই মে তিনি আমেরিকায় যান। তার আগে তিনি সরকারের বিভিন্ন ভুল সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। দ্রব্যমূল্যের বাড়তি দামের কারণে 'দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে' বলার মাধ্যমেই তিনি আলোচনায় আসেন। দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দাম ও কর্মসংস্থানের অভাবে দেশের মানুষ যে অনাহারে আছে সে কথাও একাধিকবার বলেছেন তিনি। পহেলা এপ্রিল তিনি বলেন, যে দেশে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা খাবার পায় না সে দেশে সংবর্ধনা আয়োজনের অর্থ কোত্থেকে আসে? তিনি বলেছিলেন, যতদিন দেশের মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা খাবার পাবে না ততদিন আমি বঙ্গভবনের কোন অনুষ্ঠানে খাবার খেতে যাবো না। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, টাকা খরচ করে এ ধরনের সংবর্ধনা আয়োজন বন্ধ করুন, গাড়ি কেনা বন্ধ করুন। মেহেরবানি করে গরিব মানুষকে ত্রাণ দিন। তাদের বেঁচে থাকার সুযোগ দিন। তিনি আরও বলেছিলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কমপক্ষে মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশ মানুষের খাবার দেয়ার দায়িত্ব সরকারের নেয়া উচিত। এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পেছনে সরকারের কোন দুরভিসন্ধি থাকতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ কারণে তার ওপর সরকার ছিল চরম নাখোশ। এরপর এপ্রিলের প্রথম দিকে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা তাকে ফোন করে বলেছিলেন, এ ধরনের বক্তব্যের কারণে সরকারের সমস্যা হচ্ছে। জবাবে আকবর আলি খান জানিয়েছিলেন, আপনারা সরকারে আছেন। আপনাদের চোখে আঙুল দিয়ে ভুলগুলো ধরিয়ে দিচ্ছি যাতে আপনাদের সুবিধা হয়।
খাদ্য সঙ্কট ও খাদ্যপণ্যের উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ও রাজনৈতিক দলগুলো যখন প্রকৃত সত্য বলতে ব্যর্থ, তখন একমাত্র আকবর আলি খানই জনগণের দুরবস্থা বারবার তুলে ধরেছেন সংবাদ মাধ্যমের কাছে। তার আগে হাওয়ায় ভাসছিল যে, উচিত কথা বলার কারণে আকবর আলি খানকে 'পাগল' বানানোর চেষ্টা চলছে। জানা গেল, সে চেষ্টার কথা জানতে পেরেছেন তিনিও। পহেলা এপ্রিল তিনি বলেছিলেন, আমি যখন বলি, বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর কমপক্ষে ১০ শতাংশকে সরকার থেকে খাবার দেয়া উচিত; তখন বলা হয় যে, লোকটার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এরই মধ্যে দু'মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশে নেই ড. আকবর আলি। আকবর আলি খানের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, ঘাড়ের চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আছেন তিনি। ১৩ই মে তার ঘাড়ের স্পাইনাল কর্ড অপারেশন হয়েছে। ১৫ই মে হাসপাতাল ছাড়ার পর তার শরীরের আবারও অবনতি হয়। ফলে ২৯শে মে আবারও হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। ১৬ই জুন তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। এ ব্যাপারে তার ব্যক্তিগত সহকারী আক্কাস আলী মিয়া জানান, স্যার এখন ক্র্যাচে ভর করে হাঁটতে পারেন। তাকে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি দেয়া হচ্ছে। ২৪শে জুলাই দেশে ফিরবেন তিনি। সে জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বিমানবন্দরে ওঠানামা করার জন্য একটি হুইল চেয়ার পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
http://www.manabzamin.net/lastpage.htm আল্লাহ যাকে যখন ইচ্ছা ক্ষমতা দান করেন,মাইনাস টু ফরমুলায় তাই হাসেন http://www.microscopiceye.blogspot.com/ |