Banner Advertise

Friday, October 24, 2008

[vinnomot] BD politics is now in Bay of Bengal

বাংলাদেশের রাজনীতি এখন বঙ্গোপসাগরে
ফরহাদ মজহার
বাংলাদেশের রাজনীতি এখন বঙ্গোপসাগরে। গণমাধ্যমগুলোর ফালতু চেঁচামেচি ও তিলকে তাল বানানোর মহোৎসব থেকে বাংলাদেশের রাজনীতি যেসব দাহ্য ও জলীয় পদার্থ দিয়ে নির্ণয় হয় সেই দিকে নজর ফেরানোর জন্য আজ এই লেখা। প্রথম কিস্তি। কারণ এই কিস্তিতে সব কথা ফুরাবে না। বলে রাখি, আমি সম্প্রতি ভারি বিপদে আছি। পাঠকরা প্রায়ই আমাকে চেপে ধরে জিজ্ঞেস করেন, আমি আরো খোলাসা করে সব কথা বলি না কেন? আমি বুঝতে পারি না, আর কত খোলাসা করা য ঝড়েবক বিজ্ঞাপন

ায়। তাছাড়া আমি বারবারই বলে আসছি আমি ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাস করি না। জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কী ঘটছে সেদিকে নজর রাখলেই আমরা বুঝতে পারব, বাংলাদেশে কী ঘটবে বা কী ঘটতে পারে। তার মানে এই নয় যে, মানুষ 'ষড়যন্ত্র' করে না। অবশ্যই করে। কিন্তু রাজনীতির নৈর্ব�ক্তিক (Objective) গতিপ্রক্রিয়ার সঙ্গে ষড়যন্ত্রকে একাকার করে ফেললে ভুতকে মানুষ আর মানুষকে ভুত বলে ভ্রম হতে পারে। আজ তেলগ্যাস নিয়ে কিছু বলি।
এই বছর জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকেই আন্তর্জাতিক শেয়ার বাজারের একটা বড় খবর হচ্ছে মার্কিন কোম্পানি কনকোফিলিপস (ConocoPhillips) বঙ্গোপসাগরের আটটি ব্লক তেল ও গ্যাস খোঁজার জন্য ইজারা পেয়েছে। বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ সীমানার মধ্যে তেল ও গ্যাস খোঁজার জন্য ব্লক ভাগ হয়েছে ২৮টি। বঙ্গোপসাগুর জ্বালানি সম্পদে পরিপুর্ণ। যা রটে তা কিছুটা তো বটেই, কিন্তু সেটা আরো প্রকট সত্য হয়ে ধরা পড়ল যখন ভারত ও মায়ানমার বঙ্গোপসাগরের তেল ও গ্যাস খোঁজার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এতই যে তারা বাংলাদেশ সমুদ্রসীমার মধ্যে ঢুকে পড়েছে। তারা তেল ও গ্যাস খুঁজছে বাংলাদেশের মধ্যেই।
এ ধরনের 'বিডিং' বা ইজারা দেয়ার জন্য 'ডাক' বাংলাদেশে নতুন। বিশেষত বঙ্গোপসাগরই এখানে প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। ভারত তেল ও গ্যাস খোঁজার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠার নগদ ফলও পেয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েক বছরের মধ্যেই একশ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট গ্যাস ও দুই বিলিয়ন ব্যারেল তেল আবিষ্কার করেছে বঙ্গোপসাগরে। অনুসন্ধান এখনো চলছে। মায়ানমারও ২০০৬ সালে সাত ট্রিলিয়ান কিউবিক ফিট গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে। দুটো ক্ষেত্রে গ্যাস ও তেল পাওয়ার ক্ষেত্রগুলো বাংলাদেশের সীমানার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, এমনকি বাংলাদেশের ভেতরে ভারত ও মিয়ানমার ঢুকে পড়েছে। উভয় দেশ কয়েকটি ব্লকের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আপত্তিও জানিয়েছে। দুটো দেশই আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতি উপেক্ষা করে আমাদের জলসীমা দখল করে বসে আছে। উপেক্ষা করছে ভালো প্রতিবেশীর সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা। জলসীমায় বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা (Exclusive Economic Zone) ও সমুদ্রতীরবর্তী অল্প পানির তলার ভুমিখন্ড-যা সমুদ্রের মধ্যে বহুদুর বিস্তৃত হতে পারে (Continental Shelf)-সেই জলসীমা ও সামুদ্রিক ভুখন্ড সীমা সংক্রান্ত যেসব আন্তর্জাতিক বিধিবিধান আছে ভারত ও মায়ানমার কেউই তা মানছে না। বরং বাংলাদেশ কেন তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলোকে ব্লক ইজারা দেয়ার জন্য ডাকছে তাতে তারা আপত্তি জানিয়েছে। বাংলাদেশের জল ও জলস্হ ভুখন্ড সীমা কেন গুরুত্বপুর্ণ প্রতিরক্ষার বিষয় তা বোঝানোর জন্য কন্টিনেন্টাল শেলফের একটি ধারণা নিচের স্কেচে দেয়া হলো। বঙ্গোপসাগরে জমি জাগছে। নতুন ভুখন্ড ভেসে উঠছে-এ দিকগুলোও বোঝার ব্যাপার আছে, যার সঙ্গে রাজনীতি সরাসরি যুক্ত।
ভারত ও মায়ানমার বাংলাদেশের জলসীমায় তাদের সীমানা সম্প্রসারণ এবং তেল ও গ্যাস কোম্পানিকে ইজারা দেয়া নিয়ে আমি এর আগে অন্যত্র লিখেছি। এই প্রসঙ্গে আগামী দিনে প্রয়োজনে আবার লেখা যাবে। বাংলাদেশে কোনো তেল ও গ্যাস কোম্পানি যেন ডাক না দেয়, অর্থাৎ বিনিয়োগ না করে সেজন্য ভারত ও মায়ানমার প্রচার চালিয়েছে। বাংলাদেশের কাছে আপত্তিও তুলেছে। এ রাজনীতিটা আমাদের আলাদা করে আরেকদিন বুঝতে হবে। কিন্তু আমার আজকের বিষয় শুধু কনকোফিলিপস। বলা হচ্ছে, ব্লক ইজারা দেয়ার ব্যাপারটা এখনো প্রতিশ্রুতি। সিদ্ধান্তও হয়েছে, কিন্তু কাগজে-কলমে চুক্তি হয়নি। আরেক সুত্র বলছেন, চুক্তিও হয়ে গেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে আমি সঠিক তথ্য জোগাড় করতে পারিনি। পত্রপত্রিকাতেও সুনির্দিষ্টভাবে কিছু দেখিনি। ক্ষমতাসীনদের কায়কারবার যেহেতু অপরিচ্ছন্ন, তারা আসলে কার সঙ্গে কী চুক্তি করছে, কাকে কী দিচ্ছে, কোন শর্তে দিচ্ছে-ইত্যাদি আমরা জানি না। জনগণকে জানানো হয়নি। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা ইজারা পাওয়ার জন্য সাতটি কোম্পানির ডাক শুনে কাকে কোন ব্লক দেবে তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কনকোফিলিপস ছাড়াও অন্য যেসব কোম্পানি ডাক বা বিডিংয়ে অংশগ্রহণ করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে চীনের 'চায়না অফশোর অয়েল করপোরেশন' (China National Offshore Oil Corporation ev CNOOC); চীনের তৃতীয় বৃহৎ তেল কোম্পানি। এছাড়া রয়েছে অষ্ট্রেলিয়ার সেনটোজ লিমিটেড () এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কোরিয়া ন্যাশনাল অয়েল কর্পোরেশন (Tullow Oil PLC)। শুধু কনকোফিলিপস নয়, আয়ারল্যান্ডের কোম্পানি টালো অয়েলও (ঞৎললসা ঙমল চখঈ) আরেকটি ব্লক ইজারা পেয়েছে। কনকোফিলিপস পেয়েছে আটটা ব্লক আর টালো পেল একটা। এটা পেট্রোবাংলার সিদ্ধান্ত। সরকারের যদি কোনো আপত্তি না থাকে তাহলে এ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে অচিরেই চুক্তি হওয়ার কথা।
মোদ্দা কথা হচ্ছে, আটটি ব্লকে কনকোফিলিপসকে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে-এই দিকটা পরিষ্কার। পেট্রোবাংলা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে, অক্টোবরের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অক্টোবর এসেছে, চলেও যাচ্ছে। দেখা যাক, অক্টোবরে কী ঘটে! জুলাইয়ের পর থেকে রাজনীতিতে নতুন হাওয়া ও নতুন পাল দেখে এটা নিশ্চিত করেই বলা যায় যে, বাংলাদেশের রাজনীতির নতুন সমুদ্রবায়ু বঙ্গোপসাগর থেকেই বইতে শুরু করেছে।
কিন্তু এই ব্লক ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্ত শেষতক চুক্তিতে পর্যবসিত হবে কিনা, কিংবা চুক্তি হলেও সেই চুক্তি 'বৈধ' হবে কিনা, সেটা ভিন্ন তর্ক। যদি ক্ষমতাসীনদের 'বৈধতা'র প্রশ্ন দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে গুরুতর বিষয় হয়ে থাকে, তাহলে দখলদারদের সঙ্গে চুক্তির বৈধতা কতটুকু সেটা একটা প্রশ্ন বটে। অতএব বঙ্গোপসাগরে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য ব্লক ইজারা দেয়ার প্রশ্ন সরাসরি বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত হয়ে পড়েছে। এমনকি নির্বাচন হবে কি হবে না তারও সম্পর্ক রয়েছে। নির্বাচন যদি না হয় তাহলে রাজনীতির সম্ভাব্য রুপটা কী হতে পারে-তারও আগাম ধারণা এসব দাহ্য পদার্থ সংক্রান্ত কায়কারবারের বিচার করে আমরা খানিক আন্দাজ করতে পারি। আক্কেলমন্দকে লিয়ে ইশারাহি কাফি। ঠিক না? কে না জানে যে, কনকোফিলিপস শুধু জ্বালানি কোম্পানি মাত্র নয়; ওর পেছনে আছে রিচার্ড আরমিটেজ। রিচার্ড আরমিটেজকে যদি আমরা না চিনি তাহলে এ জ্বালানি কোম্পানিটিকেও আমরা চিনতে পারব না। -পারভেজ মোশাররফ জর্জ বুশের কথা না শুনলে যিনি পাকিস্তানকে 'প্রস্তর যুগে' পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। মনে নেই?
কান্ডজ্ঞানেই আমরা বুঝতে পারি যে, ক্ষমতাসীনদের জন্য প্রস্হানপথ বের করার জটিলতাও এই ইজারা কার্যকর হওয়া না হওয়ার প্রশ্নের সঙ্গে জড়িত। যদি রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতাসীনদের অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসা ও তাদের সব সিদ্ধান্ত ও কর্মকান্ডের বৈধতা দেয়-তাহলে কনকোফিলিপস ও টালোকে ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্তও বৈধ হবে। যদি রাজনৈতিক দলগুলো বৈধতা দিতে রাজি না হয়-বিশেষত এই ধরনের গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কোনো এখতিয়ার এ ধরনের সরকারের আছে বলে না মানে, আর আসলে এ অবস্হানই সঠিক-তাহলে রাজনীতির গতি অন্যদিকে গড়াবে। আমাদের একটু একটু হুশ হচ্ছে যে, বঙ্গোপসাগরে শুধু নোনা পানি নেই, এ দরিয়া দাহ্যপদার্থেও অনন্য। এই এক সৃষ্টির রহস্যময় লীলা। পানি আর জ্বালানি একই জায়গায়। বাংলাদেশের জন্য এটা ভাগ্য নাকি সর্বনাশ, সেই কথা বলার সময় এখনো আসেনি। তেল ও গ্যাসের জন্য দুনিয়ায় আগুন জ্বলছে, যুদ্ধবিগ্রহে লাশে মাংসপোড়া গন্ধে চতুর্দিক বীভৎস। ওরই মধ্যে কনকোফিলিপস। ওরই মধ্যে রিচার্ড আরমিটেজ। বাংলাদেশকে প্রস্তুরযুগে ফেরত পাঠানোর হুমকি না দিয়েই দখলদারদের হাত ধরে রিচার্ড আরমিটেজ কনকোফিলিপস রুপ ধরে অতি শান্তিপুর্ণভাবে বাংলাদেশে এসেছেন। কী সৌভাগ্য আমাদের! আরমিটেজের আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম!
হাইড্রোকারবনে ধনী বঙ্গোপসাগরের ওপর বাংলাদেশ কতটুকু দখল রাখতে পারবে? দখলদারদের আমলে ইতোমধ্যেই আমরা বঙ্গোপসাগর হারিয়ে বসেছি কিনা কে জানে! বঙ্গোপসাগরের কিছু অংশ ইতোমধ্যে ভারত ও মায়ানমার দখল করে আছে। সেটা মীমাংসা করার হিম্মত দখলদার সরকারের নেই। সেনাবাহিনীর কাজ হচ্ছে দেশের ভুখন্ড ও সমুদ্রসীমা রক্ষা করা। কিন্তু সৈনিকদের এখন ব্যবহার করা হয়েছে মুদি দোকানদারির কাজে। তাদের প্রশিক্ষণ বাদ। সংবিধান সংরক্ষণের শপথ ভঙ্গ করে সংবিধান লঙ্ঘনের কাজে সৈনিকদের ব্যবহার করা হচ্ছে-জরুরি অবস্হা বিরাজ না করলেও জরুরি অবস্হা জারি করে দখলদারদের ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য পাহারা দেয়ার কাজে নিযুক্ত রয়েছেন তারা। লজ্জার যে এ কারণেই দেশে-বিদেশে এ সরকারকে বলা হচ্ছে 'সেনা-সমর্থিত' সরকার। অথচ সংবিধান রক্ষার জন্য যারা শপথ নিয়েছে, তারা কেউই সংবিধান-বহির্ভুত অবৈধ সরকারের পাহারাদারি করতে বাধ্য নন।
রিচার্ড লি আরমিটেজ সম্পর্কে পাকিস্তানের পারভেজ মোশাররফ সিবিএস নিউজের সিক্সটি মিনিটস (২১) প্রোগ্রামে বলেছিলেন, আরমিটেজ ২০০৬ সালে সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখের ঘটনার পর পাকিস্তানের ইনটার সার্ভিসেসে ইনটেলিজেসের একজন জেনারেলের কাছে টেলিফোন করেছিলেন। হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, পাকিস্তান যদি 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে' মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা না করে তাহলে পাকিস্তানকে বোমা মেরে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেয়া হবে। পারভেজ মোশাররফ তার বই ওহঃযব খরহব ড়ভ ঋরৎবঃ অ গবসড়রৎ গ্রন্হে ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন। প্রেসিডেন্ট বুশ দাবি করেছেন, তিনি এসব কিছু জানতেন না। ব্যাপারটা তার কানে উঠেছে ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে। আরমিটেজ বলেছেন, তার সঙ্গে একজন আইএসআই জেনারেলের কথা হয়েছে ঠিকই, তবে বোমা মেরে পাকিস্তানকে প্রস্তরযুগে ফেরত পাঠিয়ে দেবেন, এই ধরনের হুমকি নাকি দেননি। ইরাক ও আফগানিস্তানের পরিস্হিতি দেখলে আমরা অবশ্য বুঝি যে আরমিটেজ কী বলেছেন বা বলেননি সেই তর্কে না গিয়েই তেল ও গ্যাসসমৃদ্ধ দেশকে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সেই কারবারে তিনিও সক্রিয়ভাবেই যুক্ত রয়েছেন। কনকোফিলিপসকে বঙ্গোপসাগরে আটটি ব্লক ইজারা দেয়াকে আমরা অতএব নিছকই তেল আর গ্যাস অনুসন্ধান বলে গণ্য করি না।
রিচার্ড লি আরমিটেজের কীর্তি-কাহিনী বিস্তর। তিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধে ছিলেন। তার সম্পর্কে ভিয়েতনামি সৈনিকদের মন্তব্য হচ্ছে, পতঙ্গ যেমন আগুন দেখলেই ছুটে যায়, আরমিটেজও তেমনি যুদ্ধে আগুন দেখলে ছুটে যান। তার সম্পর্কে এ মন্তব্য এতই পরিচিত যে, বাংলাদেশে তার ছুটে আসাটাকেও আমরা যুদ্ধের আগুন দেখে ছুটে আসা ভেবে আশঙ্কিত না হয়ে পারি না। এটাও জানি, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্হা সেন্ট্রাল ইনটেলিজেস এজেসির গোপন ও কুখ্যাত ফিনিক্স প্রোগ্রামের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডিফেস ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে রিচার্ড কাজ শুরু করেন। আশির দশকে আর্মিটেজ রোনাল্ড রিগানের পররাষ্ট্রবিষয়ক পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে এসিসটেন্ট সেক্রেটারি অব ডিফেস পদে অধিষ্ঠিত হন। ফিলিপাইনের মার্কিন প্রেসিডেন্টের তরফে আরমিটেজ ফিলিপাইনের মার্কিন বেইজ নিয়ে কথাবার্তা মীমাংসার জন্য কাজ করেন।
আরমিটেজ বিখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন ১৯৯৮ সালে। বিল ক্লিনটনকে ইরাক আক্রমণ করে সাদ্দাম হোসেনকে হত্যা ও অপসারণের জন্য Project for the New American Century নামে যে প্রকল্প পেশ করা হয়েছিল সেখানে প্রধান প্রধান স্বাক্ষরদাতার মধ্যে তিনি একজন। ২০০১ সালে তিনি ডেপুটি সেক্রেটারি অব ষ্টেট হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। চাকরি ছাড়েন ২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে। তিনি Center for Strategic and International Studies (CSIS)-এর বোর্ড অব ট্রাষ্টির সদস্য।
এই রিচার্ড লি আরমিটেজই ২০০৬ সালের ১০ মে কনকোফিলিপসের বোর্ড অব ডিরেক্টরস নির্বাচিত হন। এই কোম্পানি ছাড়াও মানটেক ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন (ManTech International) এবং ট্রানস্কু লিমিটেডের (Transcu Limitedন) বোর্ড অব ডিরেক্টরের সদস্য।
কনকোফিলিপসকে আটটি ব্লক তেল ও গ্যাস ইজারা দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণকে আমরা শুধু একটি কোম্পানিকে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের ব্যাপার বলে গণ্য করতে পারি না। এর সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির সম্পর্ক যেমন ঘনিষ্ঠ একই সঙ্গে মায়ানমার ও ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রশ্নও রয়েছে। আসলে কি তাই? এ বিষয়গুলো আগামী কিস্তিতে আমরা আলোচনার চেষ্টা করব।
http://www.sonarbangladesh.com/article.php?ID=373

অদক্ষতা, অযোগ্যতা আর তাবেদারীর মাধ্যমে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতি করার জন্য ওদের আর হেলপারদের বিরুদ্ধে মামলা ,আর ওরা গ্রেফতার হবে কবে?

__._,_.___
Recent Activity
Visit Your Group
Yahoo! News

Fashion News

What's the word on

fashion and style?

Yahoo! Finance

It's Now Personal

Guides, news,

advice & more.

Moderator Central

Yahoo! Groups

Join and receive

produce updates.

.

__,_._,___