Banner Advertise

Friday, June 20, 2008

[vinnomot] বাংলাদেশে তুরস্ক-পাকিস্তান-মিশর মডেলঃ কারা চান, কেন চান

বাংলাদেশে তুরস্ক-পাকিস্তান-মিশর মডেলঃ কারা চান, কেন চান
মোকাররম হোসেন
৯৭ সালের মাঝামাঝিতে যুক্তরাষ্ট্রের এক নামকরা প্রফেসরের একখানা গবেষনা কর্ম পড়ার সুযোগ হয়। তিনি ভার্জিনিয়াস্থ হ্যাম্পটন ভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রফেসর এবং পেন্টাগনের একজন পরামর্শকও বটে। ইসলামি বিশ্বে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিন এশিয়ায় গনতন্র, ইসলামী আন্দোলন, মাদ্রাসা শিক্ষার উপর তাকে একজন বিশেষজ্ঞও মনে করা হয়। তার মতে,�স্নায়ুযুদ্ধের পর বা কমিউনিজমের পতনের পর যুক্তরাষ্ট্র মুসলিম বিশ্বের কোন দেশে গনতান্ত্রিকভাবে সত্যিকার দেশপ্রেমীক সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক তা চায় না�। প্রফেসরের এই পর্যবেক্ষন যে একেবারেই উড়িয়ে দেওয়ার নয়, তা বোঝা যায় মধ্যপ্রাচ্যের শেখ,সুলতান সহ সবধরনের একনায়কদের সাথে মার্কিনীদের দহরম মহরম দেখে। মুখে গনতন্ত্রের কথা বললেও ঐসব দেশে গনতন্ত্র উত্তরন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে দেশটি সহযোগী তো নয়ই বরং প্রায় ক্ষেত্রেই গনতন্ত্র ও মানবাধিকার হরনের পৃষ্ঠপোষকতাকারী। এক সমীক্ষায দেখা যায় মুসলিম প্রধান(ওআইসি সদস্য)৫৭ টি দেশের মধ্যে ৩৮ টি সরাসরি অনির্বাচিত একনায়ক শাসিত। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, ইসলামের মূল স্পিরিটে পরামর্শ ভিত্তিক শাষনব্যবস্থার উপরে গুরুত্ব আরোপ করা হলেও মাত্র ৬/৭ টি মুসলিম দেশে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়ে থাকে।এর জন্য জনগনের অসচেতনতা নাকি পরাশক্তিগুলোর প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ দায়ী তা ব্যখ্যা বিশ্লেষনের দাবী রাখে। যেসব দেশে নির্বাচন হয়ে থাকে তাদের মধ্যে তুরস্ক,ইরান,মালয়েশিয়া,ইন্দোনেশিয়া,বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য। থিংক ট্যাংক বা গবেষনা প্রতিষ্ঠান গুলোর ভাষ্যমতে যেসব মুসলিম দেশে নূন্যতম গনতন্ত্রের চর্চা আছে,সেসব দেশে জনগনের প্রতিবাদ বা মনোভাবের কারনে কোন দেশবিনাশী চুক্তি বা জনস্বার্থ বিরোধী কর্মসুচী নেওয়াটা সরকারের পক্ষে ততটা সহজ নয়। তাই তারা এমন সরকার চায় যারা জনগনের ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষার তোয়াক্কা না করে বাইরের প্রভুদের মনোতুষ্টিকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে।

তথাকথিত এক এগার কি, কেন সৃষ্টি হল বা কারা সৃষ্টি করল,এ নিয়ে কেউ আর রাখ ঢাক করে কথা বলছেন না। ডান বাম মিলিয়ে এখন প্রায় সব মহল থেকেই সমস্বরে বলা হচ্ছে কথিত সংস্কারের মাধ্যমে দুর্নীতিমুক্ত স্বপ্নরাজ প্রতিষ্ঠার অজুহাতে বাংলাদেশ নামক জাতি রাষ্ট্রটির পেছনে বৃহত প্রতিবেশী সহ বিশ্বমোড়লের আর তাদের অর্থে পরিচালিত থিংক ট্যাংক বা গবেষনা প্রতিষ্ঠান গুলোর সূদুরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গনতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়। কিসব দীর্ঘমেয়াদী কুটজালের অংশ হিসেবে আমাদের এই প্রিয় মাতৃভুমির কষ্টার্জিত গনতন্ত্র কে গলা টিপে হত্যা করা হল তা অনেক আগেই আচ করতে পেরেছিলেন দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কিছু বঙ্গসন্তান। এ নিয়ে আরেকদিন বিস্তারিত লেখার আশা রাখি . এক এগারোর কুশলীকব দের একটি বড় খায়েশ নাকি বাংলাদেশে তুরস্ক-পাকিস্তান-মিশর মডেলের আলোকে (কিছু সংজোযন বিয়োযনের মাধ্যমে) একটি উন্নত ও সংকর মডেলের বাস্তবায়ন।

মুসলিম প্রধান যে কয়েকটি দেশে কিছুটা হলেও গনতন্ত্রের চর্চা আছে তুরস্ক তাদের অন্যতম। নব্বই শতাংশের বেশি শিক্ষিত জনতা বেশ গনতন্ত্র সচেতন। সেনাবাহিনী ১৯৬০,১৯৭১ ও ১৯৮০ ক্যু এর মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করলে কয়েকবার সামরিক শাষনের কবলে পড়ে দেশটি। কমিউনিজমের পতনের পর স্বাভাবিক ভাবে এককেন্দ্রিক বিশ্বে দেশে দেশে সামরিক শাষনের প্রভাব কমতে থাকলে তুরস্কেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। গোয়েবলসের �জানি দোস্ত� পাশ্চাত্যের প্রচার মাধ্যম গুলো কোরাস গাইতে থাকে দেশটির সেনাবাহিনী নাকি গনতন্ত্র, সংবিধান ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের বড় রক্ষাকারী। বলা হয়,কথিত ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের পবিত্রতা ক্ষুন্ন হলে নাকি সেনাবাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে পারবে, এমনকি গনতান্ত্রিক সরকারকে উচ্ছেদ করতেও পারবে। আর গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারটি যদি ইসলামপন্থি হয়,তা হলে তো কথাই নেই,হস্তক্ষেপ অনিবার্য। এ সবই নাকি জায়েজ ও গনতান্ত্রিক। তার নজির আমরা দেখতে পাই ১৯৯৭ সালে ততকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিমউদ্দীন আরবাকানকে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ হুমকিতে ক্ষমতা ত্যাগে বাধ্য করার মাধ্যমে। জনগনের ভোটে নির্বাচিত একটি জনপ্রিয় দল ও সরকারকে কেনইবা তথাকথিত সংবিধানের রক্ষাকারী সেনাবাহিনী ক্ষমতাচ্যুত করল তার কোন ব্যাখ্যা বিশ্লেষন উপস্থাপন করেনি পশ্চিমা প্রচার মাধ্যম বা গনতন্ত্রের ফেরিওয়ালা বুশ ও তার সুরিধরা। কোন দেশের সংবিধানের মূল রক্ষাকারী সেদেশের জনগন, সেনাবাহিনী সরকারেরই একটি গুরুত্বপুর্ন অংশ আর সেটাই বা কিভাবে সংবিধান রক্ষাকারী হয়ে উঠে, তা আমাদের বুঝে আসে না। তবে সেনাবাহিনীকে কথিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের ত্রাতা হিসেবে প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করে গনতন্ত্রের মেকী মুরুব্বীদের ব্যবসাটা বেশ ভালই চলে। একদিকে জাহির করতে পারছে আমরা যে কোন সেনাশাষনের বিরোধী, আবার অন্যদিকে জনগনের দ্বারা নির্বাচিত কোন দেশপ্রেমীক সরকার যদি সাম্রাজ্যবাদীদের কাছে দাসত্ব করতে রাজী না হয়,তাহলে তাদের হুমকি ধমকি দিয়ে উতখাতের জন্য তো ব্যবহার করা যাচ্ছে গুটিকয়েক সেনা সদস্যকে। ১৯৯৭ সালে তুরস্কের নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর আবার বর্তমানে ক্ষমতাশীন একে পাটির সরকারকে একই পথে ক্ষমতাচ্যুত ও নিষিদ্ধ করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই। রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্যই তুরস্কে গঠন করা হয় শক্তিশালী জাতিয় নিরাপত্তা কাউন্সিল। যুক্তরাষ্ট্র,ভারতসহ বহু গনতান্ত্রিক দেশে জাতিয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের অস্তিত্ব থাকলেও তুরস্কের আদলে রাজনৈতিক বিষয়ে সরাসরি অংশ গ্রহন বিরল। সেক্ষেত্রে দেশটির জাতিয় নিরাপত্তা কাউন্সিল সত্যিকার গনতান্ত্রিক কাঠামোর জন্য যে একটি হুমকী তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

মধুপ্রাচ্যের একটি গুরুত্বপূর্ন দেশ মিশর। ১৯৮১ সাল থেকে অদ্যাবধি সিকি শতাব্দী পার হলেও আমৃত্য ক্ষমতালোভী একনায়ক শাষকবৃন্দ ও তাদের পেছনের শক্তি গনতন্ত্রের ফেরীওয়ালারা জরুরী আইন নামক কালাকানুনের কবলে থেকে মুক্ত হতে দেযনি দেশটিকে। কোন দেশে জরুরী অবস্থা জারী করা হয় সাধারনত বড় ধরনের জাতিয় বিপর্যয় যেমন প্রাকৃতিক দূর্যোগ,গৃহযুদ্ধ বা শত্রুদেশ কর্তৃক আক্রান্ত হওয়ার ফলে। আশ্চর্য জনক হচ্ছে গত ২৬ বছরের মধ্যে উপরোক্ত কোন দূর্যোগ না আসলেও শুধুমাত্র এক ব্যক্তিকে আজীবন ক্ষমতায় রাখার মানসেই মিশর দীর্ঘস্থায়ী জরুরী আইনের দেশ হিসেবে গিনেস বুকে ইতিমধ্যে স্থান করে নিয়েছে। ১৯৮১ সালে আরেক স্বৈরশাষক আনোয়ার সাদাত নির্মম ভাবে নিহত হওয়ার পর ততকালিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হোসনী মোবারক সিংহাসনে আরোহন করেন। ক্ষমতায় এসেই হোসনী মোবারক বিরোধীদের শায়েস্তা করার জন্য জরুরী আইন জারী করেন। সেই জরুরী আইন বহাল রেখেই প্রতি পাচ বছর অন্তর জাতিয় নির্বাচনও দিয়ে থাকেন।এমনকি স্থানীয় নির্বাচন গুলো জরুরী আইনের মধ্যেই হয়ে থাকে। হোসনী মোবারক রেফারেন্ডামের মাধ্যমে ১৯৮৭,১৯৯৩,১৯৯৯ এবং ২০০৫ সালে নিজেকে বিজয়ী ঘোষনা করে নেন। বিরোধী দলের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা তো দূরে থাক,�ছেড়ে দে মা কেদে বাচি অবস্থা�।জরুরী আইনের কল্যানে মি মোবারক প্রায় ৯৯ শতাংশ ভোট পেয়েই নির্বাচিত হন।অনেকে এটাকে অবশ্য গনতন্তের মিশরীয় মডেল বা হোসনী মোবারক মডেল বলে অভিহিত করতে চান। ২০০৫ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় জরুরী আইন তুলে নেবার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন তো দূরে থাক গত ২৬ মে আবারো সেই কালাকানুনের মেয়াদ দুই বছরের জন্য বর্ধিত করা হয়। বাংলাদেশে যারা বিশ্বাস করেন জরুরী অবস্থায় নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিশ্ব মোড়লরা সরকারী এ সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করবেন তাদের উচিত মিশরের অবস্থার দিকে দৃষ্টি দেওয়া। গনতন্ত্রের মুরুব্বী বলে কথিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, মানবাধিকার সংগঠন গুলো সেখানে কি জরুরী অবস্থা তুলে নিয়ে জনগনের মৌলিক অধিকার গুলো ফিরিয়ে দিতে কোন কার্যকর ভুমিকা পালন করেছে?

স্বাধীনতা পরবর্তী ছয় দশকে পাকিস্থান সেনাবাহিনীর ক্যু, ক্ষমতাদখল নতুন কোন বিষয় নয়। কিন্ত সামরিক শাসক মোশাররফের গত এক দশকের শাষনকাল অন্য যেকোন সেনাশাসনের চেয়ে ভিন্নধর্মী। ইসলামের নামে প্রতিষ্ঠিত দেশটিতে সেনাবাহিনীকে কিছুটা ইসলাম ঘেসা মনে করা হলেও গত একদশকে এই প্রতিষ্ঠান টিকে ইসলাম বিমুক্তকরনে অনেকটাই সফলকাম হয়েছে মোশাররফ সরকার।পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও জনগনকে পরস্পরের মুখোমুখি দাড় করানো হয়েছে। শীর্ষ রাজনীতিবিদদের দেশত্যাগে বাধ্যকরন ও দেশকে নেতৃত্বশূণ্য করা মোশাররফ মডেলের একটি উল্লেখযোগ্য দিক।

এক্ষেত্রে গেমটা পরিস্কার। কোন গনতান্ত্রিক সরকারের পুরো টিমকে বাগে আনা তেমন সহজ না হলেও দু/চারটা পারভেজ মোশাররফ, আলাবি, ছালাবি, কারজাই, ফকরুদ্দিন, হোসনি মবারক পাওয়া তেমন কষ্টের না।তুরস্ক,পাকিস্তান ও মিশরের ক্ষেত্রে অন্তত এই তরিকা বেশ কাজে দিচ্ছে বলে গনতন্ত্রের সোল এজেন্ট বুশ-ব্লেয়ার বেশ ফুরফুরে মেজাজেই আছেন।
আগেই বলা হয়েছে, এক এগারোর পট পরিবর্তন নাকি কিছু থিংক ট্যাংকের বহুদিন আগের পরিকল্পনারই অংশ। আর এই পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যত গনতন্ত্র কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা মনে হয় গত ২৭ জানুযারি সুইজারল্যাণ্ডের ডাভোসে ফখরুদ্দীন-কারজাই-মোশাররফের একই মঞ্চে উঠে হাত ধরাধরি করে ফটোসেশনের পর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সদ্য জেলে যাওয়া একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি কিছুদিন আগে একটি মুল্যবান মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেন,�ইরাক আর আফগানিস্তানকে যারা গোরস্থানে পরিনত করেছে, তাদের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের দিকে�। আমরা বলতে চাই, বাংলাদেশকে ইরাক আফগানিস্থানে পরিনত করার পরিকল্পনা এখন করা হচ্ছে না, এটা অনেক আগেই প্রস্তুত করা হয়েছিল। প্রপাগান্ডা হিসেবে ভারতের একজন সাংবাদিক(?) মি হিরন্ময় কার্লেকার �বাংলাদেশ কি পরবর্তি আফগানিস্থান হতে যাচ্ছে?�, এই শিরোনামে একখানা বইও লিখেন সেই ২০০৫ সালে। আগামীতে বাংলাদেশে যিনি যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদুত হয়ে আসছেন,তিনি সম্প্রতি লন্ডনে এক সংবর্ধনায় বলেছেন,�বাংলাদেশ হবে আমার তৃতীয় প্লেয়িং গ্রাউন্ড বা খেলার মাঠ�। তার প্রথম খেলার মাঠ সেই আফগানিস্থান তো অনেক আগেই গোরস্থানে পরিনত হয়েছে। উল্লেক্ষ্য,জানা যায় তার পূর্বসূরী সুরমার সন্তান(যাকে রাষ্ট্রদুতের পরিবর্তে ভাইসরয় বলেই অভিহিত করা হত) এক এগারো প্রতিষ্ঠার প্রধান যোদ্ধাদের নাকি অন্যতম।

বাংলাদেশ তুরস্ক না পাকিস্তান মডেল অনুসরন করবে, নাকি দুই মডেলের মাঝামাঝি একটি সংকর মডেলের দিকে যাবে তা আলোচনায় আসে বাংলাদেশ(১৯৯০-৯৩) ও পাকিস্তানে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত,বর্তমানে বাংলাদেশ ও দক্ষিন এশিয়া বিষয়ক তাত্ত্বিক উইলিয়াম বি মাইলামের বক্তব্যের পর।গত ২৭ মে ২০০৭ বাংলাদেশ সফরকালে মি মাইলাম বলেন �বাংলাদেশ তুরস্ক ও পাকিস্তান মডেলকে সামনে নিয়ে এগুচ্ছে।এখানে নতুন মডেলের পরীক্ষা নিরিক্ষা চলছে,কিন্ত পাকিস্তান মডেলটি বেশ দুর্বল�(দৈনিক আমার দেশ,২৮ মে,২০০৭)। মাইলামের কথাটা আমরা ফেলে দিতে পারিনা কয়েকটি কারনে।
প্রথমত পাকিস্তানে পারভেজ মোশাররফের ক্ষমতা দখলের(১৯৯৯) মাধ্যমে কথিত মোশাররফ মডেলের উদ্বোধনের সময় তিনি পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদুত ছিলেন(১৯৯৮-২০০১)। মোশাররফের জাতি বিনাশী ভুমিকা এবং �বিশ্ব দারোগা� বুশের জি হুজুর মার্কা হুকুম তামিল করা দেখে কারো দ্বিমত নেই, সেই মডেলের পটভুমি তৈরীতে কিং মেকারের ভুমিকা পালন করেছিলেন মি মাইলাম। বর্তমানে তিনি ওয়াশিংটন ভিত্তিক woodrow wilson center নামক একটি থিংক ট্যাংকের পাকিস্তান ও বাংলাদেশ বিষয়ক একাডেমিক বিশেষজ্ঞ।এ বিষয়ে সম্প্রতি তার একাডেমিক জার্নালে গবেষনা প্রবন্ধও প্রকাশিত হয়েছে। মি মাইলাম যখন বলেন বাংলাদেশ তুরস্ক ও পাকিস্তান মডেলকে সামনে নিয়ে এগুচ্ছে, এখানে নতুন মডেলের পরীক্ষা নিরিক্ষা চলছে, তখন তা আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়না । গনতান্ত্রিক বিশ্বে অনেক মডেলই তো আছে, কিন্ত মি মাইলাম কেন তুরস্ক ও পাকিস্তানের দিকে অংগুলী নির্দেশ করলেন?
তুরস্ক মডেলের পাশে বাংলাদেশকে ভাবার আরো কয়েকটি কারনও আছে। জানা যায়, মি মাইলাম যে সময় এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন ঠিক তার কিছুদিন পর বর্তমান সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা দুই সপ্তাহের তুরস্ক সফরের মাধ্যমে সেখানে সেনাবাহিনী সরকারের কী কী ভুমিকা পালন করে থাকেন তা নিয়ে নাকি পেপার ওয়ার্কও সেরে আসেন। বর্তমান সরকারের অতি ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী নীতি, শিক্ষা, রাজনীতিসহ সব ক্ষেত্রে এনজিওকরন,রাষ্ট্রের শীর্ষ পদসমূহে একের পর এক জাতি ও ধর্মবিদ্বেষী বসানো সহ সামগ্রীক ইসলাম বিমুখী নীতি দেখলে কারো মনেই সন্দেহ বদ্ধমুল হওয়া অস্বাভাবিক নয় যে বাংলাদেশ তুরস্ক মডেলের একটি আধুনিক সংস্করনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।এই ব্যাপারে আমাদের যেতে হবে সম্প্রতি দেশে ফিরে যাওয়া সেই ভাইসরযের একটি সাক্ষাতকারের দিকে।গত ২০ ডিসেম্বর ২০০৬,লন্ডনের টেলিগ্রাফ পত্রিকার সাক্ষাতকারে তিনি বলেন,�বাংলাদেশ ১৫ কোটি মুসলমানের দেশ।এরা মুসলিম মৌলবাদের দিকে ঝুকলে এ এলাকার ভুরাজনৈতিক পরিবর্তন হতে পারে�।বিগত সরকারের সময় যেভাবে দেশপ্রেমীক শক্তিগুলোকে জনগন বিপুল ভোটে ক্ষমতাশীন করেছে,তা দেখে গনতন্ত্রের ঠিকাদারদের ঘুম হারাম হওযারই কথা।তারা একথা ভাল করেই জানে যতদিন এদেশে জনগনের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত থাকবে ততদিন তেল, গ্যাস, দেশ বিনাশী চুক্তি,বন্দর ব্যবহার, ইসলামি ও দেশপ্রেমীক শক্তিগুলোর উপর খড়গ হস্ত হওয়ার সম্ভবনা নেই।এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে,গনতন্ত্র শক্তিশালী ভীতের উপর দাঁড়াবে,তা একটি মুসলিম দেশ হিসেবে অনেকের জন্য অনুকরনীয় হতে পারে।তাহলে কি করতে হবে?গনতন্ত্র থাকবে,নির্বাচন হবে সরকারও গঠিত হবে।কিন্ত এই সরকারের সুতা টানা থাকবে কয়েক ব্যক্তির হাতে।গনতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত হয়ে যদি জনগনের ভয়ে বিশ্ব মোড়লের যথাযথ সেবাদানে ব্যর্থ হলে সেই সুতার টানে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে কিছু ব্যক্তির হুমকি ধমকি তে,যেমন করা হল তুরস্ক তে ১৯৯৭ সালে অথবা আগামী কয়েকমাসে যা হবে সেখানে।কারন তাদের ভয়,কয়েকজন কে ম্যানেজ করা সহজ,কিন্ত গনতান্ত্রিক ভাবে গঠিত বিশাল সরকার কে নয়।আর এজন্যই নাকি তুরস্কের আদলে জাতিয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন করার জন্য চাপ।
তুরস্ক,পাকিস্তান ও মিশর মডেলের কোনটিরই হুবুহু মিল কিন্ত খুজে পাওয়া যাবে না বাংলাদেশের এই উন্নত সংকর মডেলে।এই নতুন মডেলে তুরস্ক মডেল থেকে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল, সর্বক্ষেত্রে এনজিওকরন, উগ্রধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতাদান, রাষ্ট্রকে ইসলাম বিমুক্তকরন, পাকিস্থান মডেল থেকে রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের মাইনাস করন,ট্রুথ কমিশন গঠন,সেনাবাহিনীকে জনগনের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাড়করন, মিশরীয় মডেল থেকে জরুরী অবস্থায় নির্বাচন করার ধারনা নেওয়া হচ্ছে । ...সাথে যোগ হচ্ছে বিশাল এনজিও বাহিনী ও সুশীল সমাজ নামে পরিচিত গ্রুপ।

লেখক> পিএইচডি গবেষক,জার্মানী, email, mokarram76@yahoo.com

http://www.sonarbangladesh.com/article.php?ID=15
অদক্ষ তত্ববধায়কদের জন্য দেশের প্রতিদিনের ক্ষতি কত কোটি টাকা?

__._,_.___
MARKETPLACE

Attention, Yahoo! Groups users! Sign up now for a one-month free trial from Blockbuster. Limited time offer.
Recent Activity
Visit Your Group
Yahoo! News

Odd News

You won't believe

it, but it's true

Yahoo! Finance

It's Now Personal

Guides, news,

advice & more.

Yahoo! Groups

Real Food Group

Share recipes

and favorite meals.

.

__,_._,___