Banner Advertise

Thursday, June 19, 2008

[vinnomot] Increase of corruption ,Grand success (????????????)of Susil supported, NRB favorte CTG ,


দুর্নীতি বেড়েছে


স্টাফ রিপোর্টার : বর্তমান সরকারের আমলে দেশে নিম্ন পর্যায়ে আগের তুলনায় দুর্নীতির পরিমাণ ও মাত্রা দু'টোই বেড়েছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। ২০০৬ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর সময়ের দুর্নীতির সঙ্গে ২০০৭ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে দুর্নীতির তুলনামূলক তথ্যে দেখা গেছে, ১১টি খাতের মধ্যে এ সরকারের আমলে ছয়টি খাতেই দুর্নীতির হার বাড়ছে। বাকি পাঁচটি খাতে সামান্য কমে দুর্নীতি এখনও অব্যাহত রয়েছে। তবে আগের সরকারের তুলনায় এ সময়ে এগুলোতে দুর্নীতির হার বেড়েছে গড়ে প্রায় দু' শতাংশ।

 

 দুর্নীতি ঢুকে পড়ছে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলার বিচারের জন্য সংসদ ভবনে স্থাপিত বিশেষ আদালত ও যৌথবাহিনীর সদস্যদের মধ্যেও। নিম্ন পর্যায়ে দেশে বছরে পাঁচ হাজার চার শ' ৪৩ কোটি টাকার দুর্নীতি হচ্ছে। টিআইবি 'বাংলাদেশে দুর্নীতি বিষয়ক খানা জরিপ-২০০৭' প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এ সময় টিআইবি'র কোষাধ্যক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন আহমেদ ও টিআইবি'র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ২০০৬ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চারদলীয় জোট সরকার ও প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন সরকারের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় ছিল। আর ২০০৭ সালের ১২ই জানুয়ারি থেকে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। এ ব্যাপারে টিআইবি'র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোজাফফর আহমদ নিজস্ব বিশ্লেষণে বলেন, 'আমি জোর গলায় বলতে পারি, ওয়ান-ইলেভেনের পর আগের সরকারের তুলনায় নিম্ন পর্যায়ে দুর্নীতির পরিমাণ ও মাত্রা দু'টোই বেড়েছে।' দুর্নীতির বর্তমান চিত্রেই স্পষ্ট যে, সরকার সুশাসন দিতে ব্যর্থ হয়েছে। শহর ও গ্রামাঞ্চলের প্রায় পাঁচ হাজার পরিবারের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে টিআইবি'র খানা জরিপে টিআইবি জানায়, ২০০৬ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ের তুলনায় ২০০৭ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ভূমি প্রশাসন, স্থানীয় সরকার, এনজিও এবং অন্যান্য খাতে দুর্নীতি বাড়ছে। দুর্নীতির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, স্থানীয় সরকার, ভূমি প্রশাসন ও বিচার বিভাগ। তবে এই সময়ে আগের তুলনায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ, বিদ্যুৎ, ব্যাংকিং ও আয়কর খাতে দুর্নীতির হার সামান্য কমে এখনও অব্যাহত রয়েছে বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়। জরিপের ফলাফলে বলা হয়, সেবা গ্রহণের সময় শতকরা ৬৬ দশমিক সাত জন কোন না কোন পর্যায়ে দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৪২ দশমিক এক ভাগ পরিবারকে গড়ে চার হাজার এক শ' ৩৪ টাকা হারে ঘুষ দিতে হচ্ছে যা মাথাপিছু আয়ের তিন দশমিক আট চার ভাগ।

এ সরকারের আমলে নিম্ন পর্যায়ে দুর্নীতি বেড়েছে : চেয়ারম্যান

অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ বলেন, কিছুদিন আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও আমি একই কথা বলেছিলাম। ওই সময় টিআইবি থেকে বলা হয়েছিল, ওটা টিআইবি'র চেয়ারম্যানের বক্তব্য নয়, আমার নিজস্ব বক্তব্য। তারপর আমি প্রায় এক হাজার লোকের সঙ্গে কথা বলেছি। তার ভিত্তিতে আমি স্পষ্ট করে বলতে পারি, এ সরকারের আমলে নিম্ন পর্যায়ে দুর্নীতির পরিমাণের সঙ্গে দুর্নীতির হারও বাড়ছে। তিনি বলেন, সরকারের দায়িত্ব সুশাসন দেয়া। দুর্নীতির চিত্রে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, সরকার সুশাসন দিতে ব্যর্থ হয়েছে। মোজাফফর আহমদ আরও বলেন, দেশের ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ মানুষের এখন যেখানে খাবার সংগ্রহ করাই দুষ্কর সেখানে এত বেশি দুর্নীতি তাদের আরও অসহায় করে তুলছে। তিনি বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের পর কোন কোন খাতে দুর্নীতি বাড়ছে। আবার কোন কোন খাতে দুর্নীতি কমছে। তবে ব্যক্তি হিসেবে আমার পরিষ্কার উত্তরÑ আগের তুলনায় ওয়ান-ইলেভেনের পর নিম্ন পর্যায়ে দুর্নীতির পরিমাণ ও হার বাড়ছে। তিনি বলেন, দুর্নীতি ঠেকাতে কৌশল পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য বহু কমিশন গঠন করা হয়েছে। তবে তাদের একটি সুপারিশও বাস্তবায়ন করা হয়নি। রাজনৈতিক সদিচ্ছার কারণেই তা সম্ভব হয়নি। তবে রাতারাতি দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব নয়। প্রয়োজন কার্যকর সংসদ, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও তথ্য অধিকার আইনের দ্রুত বাস্তবায়ন। দুর্নীতি মামলার বিচারকাজে স্থাপিত বিশেষ আদালতের দুর্নীতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে টিআইবি'র চেয়ারম্যান মোজাফফর আহমদ বলেন, আদালতে দুর্নীতি মানে এই নয় যে, বিচারকরা দুর্নীতি করছেন, ঘুষ খাচ্ছেন। সেখানে অফিস আছে। সার্বিকভাবে আদালতগুলোতে যে দুর্নীতি হচ্ছে তা-ই গবেষণায় ফুটে উঠেছে। টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুই সরকারের আমলে দুর্নীতির যে ব্যাপকতা ছিল এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। গড়ে দেশের ৬৬ দশমিক সাত ভাগ পরিবার এখনও সেবা গ্রহণের সময় কোন না কোন ধরনের দুর্নীতির শিকার হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রশাসনের মাধ্যমে যেখানে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে আনার কথা সেখানে দুর্নীতিই প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এটা আমাদের জন্য অন্তত নৈরাশ্যজনক চিত্র। ইফতেখারুজ্জামান জানান, দুর্নীতিরোধে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সদিচ্ছার প্রয়োজন। অতীতের সরকারগুলোর মধ্যে সে ধরনের মনোভাব দেখিনি। এ সরকার দুর্নীতি দমনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এসেছে। তবে এখন সে ধরনের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। দুদক অতীতের দুর্নীতি নিয়ে কাজ করছে। সরকার প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করছে। তবুও দুর্নীতি অব্যাহত আছে।

বিশেষ আদালতেও ঘুষ

দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে বিশেষ জজ আদালত। টিআইবি জানিয়েছে, সেই বিশেষ আদালতেও ঢুকে পড়েছে দুর্নীতি। তাদের গবেষণায় দেখানো হয়েছে, বিচার বিভাগের মোট ঘুষের শতকরা দু'ভাগ চলে যাচ্ছে বিশেষ আদালতে। এক্ষেত্রে গড় ঘুষের পরিমাণ পাঁচ হাজার আট শ' ৪০ টাকা। এছাড়া জজকোর্টে ৪৭ দশমিক ছয় শতাংশ, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ৪৫ দশমিক দুই শতাংশ, হাইকোর্টে চার শতাংশ হারে দুর্নীতি হচ্ছে। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে গড় ঘুষের পরিমাণ পাঁচ হাজার এক শ' ২৪ টাকা, জজ কোর্টে পাঁচ হাজার পাঁচ শ' ১৬ টাকা এবং হাইকোর্টে প্রত্যেককে দু' হাজার এক শ' ৬৭ টাকা ঘুষ দিতে হয়।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দুর্নীতিতে এগিয়ে

টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনগণ সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির শিকার হচ্ছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে। শতকরা ৯৬ দশমিক ছয় ভাগ সেবা গ্রহণকারী এদের মাধ্যমে দুর্নীতির শিকার হন। সেনাবাহিনীর সদস্যরাও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কিনা জানতে চাইলে টিআইবির চেয়ারম্যান মোজাফফর আহমদ বলেন, আইন প্রয়োগকারী সকল সংস্থাই এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান জানান, পুলিশ, র‌্যাব, যৌথবাহিনী, বিডিআর এবং আনসার-ভিডিপি'র সদস্যরাও নানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। গবেষণায় বলা হয়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছ থেকে সেবা পেতে শতকরা ৬৪ দশমিক পাঁচজনকে হয়রানি ও দুর্নীতির শিকার হতে হয়। এক্ষেত্রে প্রত্যেকের কাছ থেকে গড়ে ঘুষ নেয়া হয়েছে তিন হাজার নয় শ' ৪০ টাকা। ২০০৬ সালের জুলাই থেকে ২০০৭ সালের জুন পর্যন্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা আট শ' ৭৯ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে টিআইবি তাদের গবেষণায় উল্লেখ করেছে। আইন প্রয়োগকারী সদস্যদের দ্বারা ঘুষ চাওয়ার কারণে ৪১ দশমিক পাঁচ ভাগ, খারাপ ব্যবহার থেকে রক্ষা পেতে ২১ দশমিক পাঁচ ভাগ এবং নির্যাতনের হুমকির কারণে ১০ দশমিক সাত ভাগ উত্তরদাতা দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে যৌথবাহিনীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের হুমকির মাধ্যমে দুর্নীতির বিষয়টি বেশি বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে। টিআইবি জানায়, গ্রেপ্তার এড়াতে প্রতি জনের কাছ থেকে গড়ে ১০ হাজার নয় শ' ২৭ টাকা, প্রাথমিক তথ্য বিবরণীর (এফআইআর) জন্য তিন হাজার নয় শ' ৮৩ টাকা, পুলিশি তদন্ত রিপোর্টের জন্য দু' হাজার ছয় শ' পাঁচ টাকা, চার্জশিটের জন্য এক হাজার সাত শ' তিন টাকা এবং জিডির ক্ষেত্রে সাত শ' ৯৫ টাকা হারে ঘুষ নেয়া হয়েছে। এছাড়া পুলিশি তদন্তের জন্য ২১ দশমিক ছয় ভাগ, জিডি করতে ১৪ দশমিক আট ভাগ, চার্জশিটে ১৮ দশমিক ছয় ভাগ, গ্রেপ্তার এড়াতে ১০ ভাগ, এফআইআর-এর জন্য ছয় দশমিক চার ভাগ এবং অন্যান্য খাতে ২৮ দশমিক ছয় ভাগ ঘুষ দিতে হয়েছে।

সময়ভেদে ঘুষ দেয়ার তুলনামূলক চিত্র

টিআইবির গবেষণায় বলা হয়, ২০০৬ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের তুলনায় ২০০৭ সালের জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে গড়ে দুর্নীতির হার বেড়ে হয়েছে ৩৯ দশমিক তিন শতাংশ। ২০০৬ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ১১টি খাতে দুর্নীতির গড় হার ছিল ৩৭ দশমিক পাঁচ শতাংশ। গবেষণায় বলা হয়, ২০০৬ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে শিক্ষাখাতে দুর্নীতির হার ছিল সাড়ে ১২ শতাংশ। আর ২০০৭ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে এ খাতে দুর্নীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৪৪ শতাংশ। স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির হার আগের বছরের ৩২ শতাংশ থেকে বেড়ে গত বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক নয় শতাংশ। ভূমি প্রশাসনে ২০০৬ সালে দুর্নীতির হার ছিল ৩৯ দশমিক চার শতাংশ। গত বছর সেখানে দুর্নীতির হার দাঁড়ায় ৪৫ দশমিক এক শতাংশ। স্থানীয় সরকার খাতে দুর্নীতির হার ৩৮ দশমিক দুই শতাংশ থেকে বেড়ে ৪৭ দশমিক নয় শতাংশ এবং এনজিও খাতে ৩৩ দশমিক তিন শতাংশ থেকে বেড়ে দুর্নীতির হার দাঁড়িয়েছে ৩৫ দশমিক সাত শতাংশ। এছাড়া ওয়াসা, তিতাস ও টেলিফোন বোর্ডের সমন্বয়ে অন্যান্য খাতে ২০০৬ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে দুর্নীতির হার ছিল সাড়ে ৩৫ শতাংশ। আর ২০০৭ সালের জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে এ খাতে দুর্নীতির পরিমাণ ১০ ভাগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৪৫ শতাংশে। তবে ২০০৬ সালের জুলাই-ডিসেম্বরের তুলনায় ২০০৭ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় দুর্নীতির হার ৪৯ দশমিক সাত শতাংশ থেকে ৩৭ দশমিক তিন শতাংশ, বিচার বিভাগে ৩১ দশমিক নয় শতাংশ থেকে ২৮ দশমিক আট শতাংশ, বিদ্যুৎ খাতে ৪১ শতাংশ থেকে ৩৮ দশমিক সাত শতাংশ, ব্যাংকিং খাতে ৫৫ দশমিক চার শতাংশ থেকে ২২ দশমিক সাত শতাংশ এবং আয়কর খাতে দুর্নীতির হার ৪৪ দশমিক নয় ভাগ থেকে ৩৪ দশমিক নয় ভাগে নেমেছে।

সর্বোচ্চ ঘুষ লেনদেন ভূমি প্রশাসনে

টিআইবি জানিয়েছে, ভূমি প্রশাসনে ২০০৬ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের তুলনায় ২০০৭ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে এ খাতে দুর্নীতির পরিমাণ বাড়ছে শতকরা পাঁচ দশমিক সাত ভাগ। টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে ভূমি প্রশাসনে। এ খাতে মোট ঘুষের পরিমাণ দেখানো হয়েছে এক হাজার ছয় শ' ছয় কোটি টাকা। ভূমি প্রশাসনে কাজ করতে গিয়ে শতকরা ৫২ দশমিক সাত ভাগ পরিবার দুর্নীতির শিকার হয়েছে। এখানে কাজ করতে গিয়ে ৫১ দশমিক এক ভাগ পরিবারকে গড়ে চার হাজার চার শ' নয় টাকা করে ঘুষ দিতে হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, খাস জমি বণ্টনের ক্ষেত্রে গড়ে পাঁচ হাজার ছয় শ' ৮০ টাকা, ভূমি রেজিস্ট্রেশনে চার হাজার দু' শ' ৩৭ টাকা, ভূমি জরিপ ও সীমানা নির্ধারণে তিন হাজার আট শ' ৫৭ টাকা, নথিপত্র উত্তোলনে এক হাজার ছয় শ' ৩৯ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। গবেষণাকালে নথিপত্র উত্তোলনে দুর্নীতির শিকার হয়েছেন শতকরা ৭০ ভাগ, খাসজমি বণ্টনে ৬৫ দশমিক ছয় ভাগ, সীমানা নির্ধারণে ৬৪ দশমিক চার ভাগকে ঘুষ দিতে হয়েছে।

শিক্ষাখাতে দুর্নীতি বাড়ছে ৩২ শতাংশ

টিআইবি'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালের শেষ ছয় মাসের তুলনায় ২০০৭ সালের প্রথম ছয় মাসে শিক্ষাখাতে দুর্নীতির হার বাড়ছে শতকরা ৩২ শতাংশ। এ খাতে উপবৃত্তিপ্রাপ্ত ২৫ দশমিক এক ভাগ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২২ ভাগকেই নানা ধরনের হয়রানি ও অনিয়মের শিকার হতে হয়েছে। উপবৃত্তির টাকা তোলার সময় অনিয়মের শিকার হওয়া ৭৪ দশমিক ছয় ভাগ ছাত্রছাত্রী গড়ে ৯১ টাকা করে ঘুষ দিয়েছে। আর এটা নিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক অথবা শ্রেণী শিক্ষক, চেয়ারম্যান ও মেম্বার, এসএমসি সদস্য, প্রকল্প কর্মকর্তা ও ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী। এছাড়া ভর্তির ক্ষেত্রে নয় ভাগ ছাত্রছাত্রীকে গড়ে শহর এলাকায় পাঁচ শ' ৭৪ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে।

স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি বাড়ছে

চার দশমিক নয় ভাগ

আগের বছরের শেষ ছয় মাসের তুলনায় ২০০৭ সালের প্রথম ছয় মাসে স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির পরিমাণ বেড়েছে চার দশমিক নয় ভাগ। গবেষণায় দেখানো হয়েছে বহির্বিভাগ, অন্তর্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে সেবা নিতে আসা ৩৯ শতাংশ পরিবারকেই ঘুষ দিতে হয়েছে। এক্ষেত্রে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুর্নীতির শিকার হয়েছেন সর্বোচ্চ ৪৭ দশমিক নয় ভাগ। স্বাস্থ্যখাতে ডাক্তারদের ঘুষ দিতে হয়েছে শতকরা ৩৬ দশমিক পাঁচ ভাগ এবং নার্সকে ঘুষ দিতে হয়েছে ৩১ ভাগ রোগীর। এছাড়া সরকারি হাসপাতালে প্যাথলজিক্যাল টেস্ট করার সময় ২৪ দশমিক ছয় ভাগ পরিবারকে গড়ে দু' শ' ৬০ টাকা অতিরিক্ত ঘুষ দিতে হয়েছে।

জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনেও ঘুষ চলছে

টিআইবি জানিয়েছে, স্থানীয় সরকার প্রশাসনে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ও ইয়াজউদ্দিন সরকারের শাসনামলের তুলনায় বর্তমান সরকারের প্রথম ছয় মাসে দুর্নীতির হার বাড়ছে নয় দশমিক সাত ভাগ। এক্ষেত্রে জন্ম, মৃত্যু ও নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট পেতে ঘুষ দিতে হয় শতকরা ৬২ জনকে। এছাড়া সার সংগ্রহ, বয়স্কভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ, ট্রেড লাইসেন্স পেতে ঘুষ দিতে হয় গ্রাহককে। গবেষণায় বলা হয়েছে, সেবা গ্রহীতাকে সবচেয়ে বেশি অর্থ ঘুষ দিতে হয় ব্যাংকিং খাতে। এ খাতে দেয়া প্রতি গ্রাহকের গড় ঘুষের পরিমাণ সাত হাজার সাত শ' ৯৫ টাকা। বিচার বিভাগের মোট ঘুষের দুই শতাংশই লেনদেন হচ্ছে বিশেষ আদালতে। এছাড়া কর খাতে হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে ৬২ দশমিক পাঁচ ভাগ এবং এনজিও খাতে ক্ষুদ্রঋণ পেতে ঘুষ দিতে হয়।

টিআইবি'র সুপারিশ

দুর্নীতি রোধে দুদককে আরও কার্যকর করা, জাতীয় সংসদকে অধিকতর কার্যকর করা, জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা, প্রত্যেক মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-অধিদপ্তরে ওয়াচডগ সংস্থা হিসেবে ন্যায়পাল নিয়োগের পাশাপাশি নাগরিক ওয়াচডগ বডি গঠনের সুপারিশ করেছে টিআইবি। এছাড়া দ্রুত বিচার আইনের আওতায় বিদ্যুৎ খাতে বিশেষ আদালত গঠন ও বিচারক নিয়োগ এবং সরকারি তহবিলের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশ করেছে তারা।

http://www.manabzamin.net/lead-01.htm

 


অদক্ষ তত্ববধায়কদের জন্য দেশের প্রতিদিনের ক্ষতি কত কোটি টাকা?

__._,_.___
MARKETPLACE
You rock! Blockbuster wants to give you a complimentary trial of Blockbuster Total Access.
Recent Activity
Visit Your Group
Yahoo! News

Kevin Sites

Get coverage of

world crises.

Yahoo! Finance

It's Now Personal

Guides, news,

advice & more.

Y! Messenger

Group get-together

Host a free online

conference on IM.

.

__,_._,___