Banner Advertise

Thursday, June 19, 2008

[vinnomot] Five conditional deal of Hasina with CTG? What are the other fours?


Accordingt o Sirajur rahman, hasina has bought release under five conditions. What are  the other four conditions?

আইনবেত্তা ড. কামালের রাজনৈতিক ভেল্কি
সিরাজুর রহমান
ছোটবেলায় বড়োদের গল্প-গুজারিতে শুনেছিলাম গল্পটা। তিন বন্ধু বিরাণ মরুভূমিতে শিকার করতে বেরিয়েছিলো। তিনদিন ধরে ঘুরেও কোনো শিকার পায়নি। ওদিকে ক্ষুধায় প্রাণ যায় যায়। এক সময় তারা দেখলো যায়তুন (জলপাই) গাছের নিচে একটা মরা বলদ পড়ে আছে। তাড়াতাড়ি বলদের পায়ের কিছু মাংস কেটে কোনো রকমে ঝলসে খেয়ে নিলো। ক্ষুধার জ্বালা মিটতেই চিন্তা হলো হালাল খেয়েছে কি হারাম খেয়েছে। তিন বন্ধুতে মিলে গেলো এক মোল্লার কাছে। মোল্লা রায় দিলেন, মরা গরুর মাংস খেয়েছো, সেটা স্পষ্টতই হারাম, কোনো মতেই হালাল হতে পারে না। বন্ধুদের তখন মহাদুশ্চিন্তা। এই মহাপাপ থেকে কি করে রেহাই পাওয়া যায়? বন্ধুদের একজন ছিলো খুবই ধড়িবাজ। হঠাৎ একটা বুদ্ধি এলো তার মাথায়। একশ টাকার দুখানি নোট উঁচু করে তুলে ধরে তারা ফিরে গেলো মোল্লার কাছে। নোট দুখানি তাঁকে দেখিয়ে বললো, এই টাকাটা আপনার জন্যে এনেছিলাম। কিন্তু কি আর করা যায়? তারা আবার ফিরে যাবার ভান করলো। দুশ্চিন্তার পালা তখন মোল্লার। এতোগুলো টাকা হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। একটু পরেই সমাধান পেয়ে গেলেন তিনি। তিন বন্ধুকে ফেরৎ ডাকলেন। বললেন, মাসলা-মাসায়েল পেয়ে গেছি। তোমরা তো তিন জনই ছিলে? বন্ধুরা সমস্বরে জবাব দিলো, হ্যাঁ। মোল্লা বললেন, গাছটা যায়তুনই ছিলো, আর কোনো গাছ নয়? বন্ধুরা আবারো বললো, হ্যাঁ। মোল্লা বললেন এবং গরুটাও বলদ ছিলো, ষাঁড় কিংবা গাভী নয়? বন্ধুরা বললো, অবশ্যই বলদ ছিলো গরুটা। মোল্লার মুখে বিরাট একটা হাসি ফুটে উঠলো। বললেন, কেতাবে আছে (আসতাগ ফিরুল্লাহ)। 'ওয়াত্তিনি ওয়াযযাইতুনি ওয়া তুরি সিনিনা, ওয়াল হাযাল বালাদিল আমীন।' অর্থাৎ মানুষ যদি তিনজন হয়, গাছটা যদি যায়তুন হয় এবং গরুটা যদি বলদ হয়, অর্থাৎ এক সঙ্গে তিন শর্ত যদি পূরণ হয়, তাহলে সে বলদের মাংস খাওয়া হালাল। বন্ধুদের মন থেকে বিরাট অপরাধবোধের বোঝা নেমে গেলো। মোল্লাকে নোট দুখানি দিয়ে হালকা মনে তারা ফিরে গেলো। ড. কামার হোসেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের আইন উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে জাতিসংঘের এবং তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেকের আইন উপদেষ্টা ছিলেন। কিন্তু কোনো জনপ্রতিনিধিত্বমূলক পদে তিনি বহুকাল ধরেই নির্বাচিত হতে পারেননি। তবু রাজনীতি করেন তিনি। নেতা হবার জন্যে নিজে একটা দল গড়েছেন। মাঝে মাঝে রাজনৈতিক বক্তৃতা-বিবৃতি দেন তিনি। সমালোচকরা বলেন, তার ভয় হয় লোকে তার নাম ভুলে যাবে, তাই মাঝে মাঝে পত্রিকার পাতায় নিজের নাম দেখতে চান। আগের দিনের হিন্দু জমিদাররা সময় কাটাতে শখের থিয়েটার করতেন, নায়েব-পেয়াদা পাঠিয়ে প্রজাদের নাটক দেখতে আর হাততালি দিতে ডেকে আনা হতো। বর্তমান সরকার গদি দখলের আগে ড. কামালের রাজনীতিকে আমার সে রকমই মনে হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামধারী বর্তমান স্বৈরতন্ত্রী সরকার ক্ষমতায় আসার পর তার সে ভয় কেটে গেছে। মিডিয়াপাড়ায় প্রায়ই তার নাম আলোচিত হয়। তিনি দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রায়ই বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে থাকেন, কালো টাকার মালিকদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিষিদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। সত্য-মিথ্যা জানি না, গুজব শুনেছি যে, এ সরকারের আমলে মোটা অঙ্কের কালো টাকা তিনি সাদা করেছেন। কিছুদিন আগে পর্যন্তও গুজব ছিলো, এ সরকার সত্যিকারের সংসদ নির্বাচন দিতে সাহসী হবে না, তারা নিজেদের পছন্দসই এবং মনোনীত লোকেদের নিয়ে একটা সাজানো-পাতানো নির্বাচন করবে। সে সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যাদের নাম উচ্চারিত হচ্ছিলো ড. কামাল হোসেন তাঁদের শীর্ষে ছিলেন। পরিবর্তিত প্রেক্ষিত এখন রাজনীতির প্রেক্ষিত বদলে গেছে বলেই মনে হয়। বিদেশী মুরব্বিরা এবং সেদেশের মানুষ সে রকমের কোনো নির্বাচন মেনে নেবে বলে সরকারও ভরসা পাচ্ছে না। তাছাড়া দেশের জনসংখ্যার আশি শতাংশেরও বেশির আস্থাভাজন দুই নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাকে আর বেশিদিন রাজনৈতিক কারণে কারাবন্দী করে রাখাও সম্ভব হবে না বলে সরকার এখন বুঝে গেছে। শোনা যাচ্ছে পাঁচটা শর্তের বিনিময়ে শেখ হাসিনাকে চিকিৎসার জন্যে বিদেশে যেতে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে একটা শর্ত অনুযায়ী তিনি আওয়ামী লীগের নেত্রী থাকলেও সংসদীয় দলের নেতা হতে, অর্থাৎ আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়ী হলেও তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। খালেদা জিয়া প্যারোলের জন্যে দরখাস্ত করতে কিংবা শর্তাধীন প্যারোলে যেতে রাজি নন। তাছাড়া তিনি বলে দিয়েছেন তিনি চিকিৎসা দেশের ডাক্তার দিয়ে দেশেই করাবেন, বিদেশে যাবেন না। নইলে আরো আগেই তাকেও মুক্তি দেয়া হতো। অর্থাৎ সাজানো-পাতানো নির্বাচনী খেলা এখন আর সম্ভব বলে মনে হচ্ছে না। তেমন অবস্থায় ড. কামাল হোসেন কিংবা সমগোত্রীয় সৌখিন রাজনীতিকদের কারো প্রধানমন্ত্রী হবার সম্ভাবনাও এখন বাতিল বলেই মনে হচ্ছে। সে ব্যাপারটার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক আছে কি-না বলতে পারবো না, কিন্তু হাসিনার মুক্তিতে ড. কামাল হোসেন খুবই ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন। গত শুক্রবার (১৩ জুন) যুব গণফোরামের সভায় তিনি ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সরাসরি শেখ হাসিনার নামোল্লেখ না করে ড. কামাল হোসেন বলেন, 'আমরা জানতে চাই সরকারের ভেতরে কে দুর্নীতিপরায়ণ রাজনীতিকদের ব্যাপারে দুর্বল হয়ে পড়েছেন? কার হুকুমে আপনারা এসব কাজ করছেন? আমাদের বলুন দুর্নীতিপরায়ণদের হয়ে কাজ করতে কে আপনাদের ওপর চাপ দিচ্ছে। আমরা সেসব অশুভ শক্তির মোকাবিলা করবো।' অর্থাৎ ড. কামাল হোসেন সরকারের কোনো কোনো সদস্যের (দ্বিতীয় দফার নিযুক্ত উপদেষ্টা এবং তার পরে নিযুক্ত বিশেষ সহকারীদের কেউ কি?) বিরুদ্ধে সাবোটাসের অভিযোগ আনছেন। ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যে দেশজোড়া বিস্ময়ের, দুঃখের এবং ক্রোধের উদ্রেক হয়েছিলো। তার উক্তির প্রতিবাদ করে দলমত-নির্বিশেষে বহু প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। শেখ হাসিনা সাধারণ দুষ্কৃতকারী নন। তিনি দেশের অন্যতম প্রধান দলের নেত্রী এবং একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। স¤প্রতি তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু হয়েছে সত্যি, কিন্তু এখনো তিনি দোষী সাব্যস্ত হননি। আইন বনাম জরুরি আইন আইনের চোখে হাসিনা এখনো নিরপরাধ। সম্পূর্ণ বিনা প্রয়োজনে তাকে ১১ মাস ধরে জেলে পুরে রাখা হয়েছে। তাতে তার সুচিকিৎসা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। রাজনৈতিক দুর্বিবেচনা ছাড়াও দেশের নাগরিক হিসেবে তার মানবাধিকার যে লংঘিত হয়েছে তার প্রতিবাদ করা আইনবেত্তা হিসেবে ড. কামাল হোসেন একবারও প্রয়োজনীয় বিবেচনা করেননি। জরুরি অবস্থা ও জরুরি আইন খুবই সীমিত সময়ের জন্যে এবং সীমিত প্রয়োজনে জারি হয়ে থাকে। পাকিস্তানেও জেনারেল পারভেজ মুশাররফের জারি করা গত নবেম্বরের প্রলয়ংকরী জরুরি অবস্থা দুমাসের মধ্যেই প্রত্যাহার করা হয়েছিলো। মিয়ানমারের চিরস্থায়ী জরুরি অবস্থা নিয়ম নয়, ব্যতিক্রম মাত্র। তেমন অবস্থাই কি বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাম্য? তারা জরুরি অবস্থা চালাচ্ছে ১৮ মাস ধরে। দেশের মানুষ তো বটেই, এ সরকারের বিদেশী অভিভাবকরাও অবিলম্বে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে। সরকার তাতে আমল দিচ্ছে না। তারা জানে জরুরি অবস্থা তুলে নিলে তাদের গদি নড়বড়ে হয়ে পড়বে। ড. কামাল হোসেন এ পরামর্শ কি সরকারকে দিয়েছেন যে, জরুরি আইনে ভিআইপিদের বিচার, জামিন দিতে অস্বীকৃতি, জামিন মঞ্জুর করতে হাইকোর্টের অধিকার খর্ব করা ইত্যাদি সভ্য দেশের রীতি নয়? একথাও কি তিনি বলেছেন যে, এই মানবাধিকারবিরোধী দীর্ঘকালের আটকাবস্থা, রিমান্ডে রাজনৈতিক নেতাদের ওপরেও দৈহিক নির্যাতন, নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর হেফাজতে বন্দীদের বিচার-বহির্ভূত হত্যাÑ এসব সভ্য সমাজে বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট করবে। অন্তত দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিচার দেশের প্রচলিত আইনে এবং স্বাভাবিক আদালতে অনুষ্ঠানের পরামর্শ তিনি আইনজ্ঞ হিসেবে সরকারকে দিতে পারতেন। কিন্তু আমাদের জানা মতে তেমন কোনো পরামর্শ তার মুখ দিয়ে উচ্চারিত হয়নি। তাতে আইনবেত্তা হিসেবে তার মর্যাদা ক্ষুণœ হয়েছে। আগেই চার লাখ ৪০ হাজার রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও সম্ভাব্য কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। গত তিন সপ্তাহে আরো প্রায় ৩০,০০০ রাজনৈতিক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শাস্তির মধ্য মেয়াদে দাগী ফৌজদারী আসামীদের মুক্তি দিয়ে কারাগারগুলোতে রাজনৈতিক বন্দীদের জন্যে স্থান করা হচ্ছে। গোটা দেশকে যে বিরাট একটা কয়েদখানায় পরিণত করা হচ্ছে, রাজনীতিক হিসেবেও ড. কামাল হোসেনের উচিত ছিলো তার প্রতিবাদ করা। কিন্তু তিনি বোধহয় সরকারের সমালোচনা করে নিজের 'ফিউচার প্রসপেক্ট' নষ্ট করতে চাননি। বিবৃতি পাল্টা বিবৃতি 'নাই দেশে ভেরেন্ডা বৃক্ষ।' বিএনপি আর আওয়ামী লীগ যখন নির্বাচনে যাবে না বলে মনে হচ্ছিলো তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দৃষ্টিতে ড. কামাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন এবং যেমন আগেই বলেছি, নীলনকশার সরকারের তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন বলেও শোনা যাচ্ছিলো। কিন্তু এখন প্রেক্ষিত বদলে গেছে। আওয়ামী লীগ বলেই দিয়েছে যে, তারা নির্বাচনে যাবে। সরকার যদি মান বাঁচিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার ফর্মুলা বের করতে পারে তাহলে বিএনপিও নিশ্চয়ই নির্বাচনে যাবে। জনসমর্থনহীন গণফোরাম কিংবা তাদের নেতা ড. কামাল হোসেন এখন আর আগের মতো গুরুত্বপূর্ণ নন। ড. কামালের মন খারাপ হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তার শুক্রবার ১৩ জুনের বক্তৃতাটা সে আলোকে দেখা যেতে পারে। কিন্তু 'এ কি কথা শুনি আজ মন্থরার মুখে?' ঠিক তিনদিনের মাথায় ১৬ জুন সোমবার ড. কামাল হোসেনের মতপরিবর্তন ঘটেছে। তিনি বলেছেন আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার প্যারোলে মুক্তি বৈধ ছিলো। এই ডিগবাজির যে অজুহাত তিনি দিয়েছেন সেটা খুবই হাস্যকর। সোমবার আরামবাগে গণফোরামের কেন্দ্রীয় আফিসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'এখন আমি জানতে পেরেছি যে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে শেখ হাসিনাকে বৈধভাবে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়েছে। আমার আর কিছু বলবার নেই।' ড. কামাল হোসেন এতোদিন কি মঙ্গলগ্রহে হলিডে করতে গিয়েছিলেন? তিনি কি গত কয়েক মাসে বাংলাদেশের কোনো পত্রিকা পড়েননি? কোনো টেলিভিশন দেখেননি? শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা, জেল কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা, স্কয়ার হসপিটালসহ একাধিক হাসপাতালের বিশেষজ্ঞরা কয়েক মাস আগে থাকতেই বলে আসছেন যে, চিকিৎসার জন্যে হাসিনার বিদেশে যাওয়া প্রয়োজন। সরকারের নিযুক্ত মেডিকেল বোর্ডও বেশ কয়েকদিন আগে হাসিনাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছে। সেসব তথ্য যেন ড. কামাল হোসেনকে এড়িয়ে গেছে। এখন তিনি হঠাৎ করে আবিষ্কার করেছেন যে, মেডিকেল বোর্ড সত্যি সত্যি হাসিনাকে বিদেশে পাঠাতে বলেছে। এই আকস্মিক বোধোদয়ের কারণ কি? দেশজোড়া ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া অবশ্যই একটা কারণ। তাছাড়া ড. কামাল হোসেন সম্ভবত অনেকদিন পরে আবার পত্রিকা পড়তে এবং টেলিভিশন দেখতে শুরু করেছেন এবং তাতেই তিনি হয়তো জানতে পেরেছেন যে আওয়ামী লীগ স¤প্রতি বলেছে যে, তারা তাদের নির্বাচনী জোটে ড. কামালের গণফোরামকেও অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। এমতাবস্থায় শেখ হাসিনার প্যারোলে মুক্তিকে অবৈধ বলা ঠিক হবে না বলে ড. কামাল হোসেন সিদ্ধান্ত করেছেন। ন্যায়বিচার নয়, রাজনীতি একটা কথা ড. কামাল হোসেন বুঝেও বুঝতে চাইছেন না যে খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা এবং শীর্ষ নেতাদের আরো কাউকে কাউকে গ্রেফতার, জরুরি আইনে তাদের বিচার ও দণ্ডদান ইত্যাদি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। এ সরকারের যে গোপন এজেন্ডা ও নীলনকশার কথা শোনা গিয়েছিলো এসব কাজ করা হয়েছে সে অনুযায়ী। দুর্নীতির মূলোৎপাটন একটা বাহানা ছিলো মাত্র। সকলেই জানে এ সরকারের আমলে দুর্নীতি দূর হয়নি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালও বলেছে যে, ২০০৭ সালে বাংলাদেশে দুর্নীতি এতোটুকু হ্রাস পায়নি, বরং ঘুষের দুর্নীতি অনেক বেড়ে গেছে। আসলে এ সরকারের আমলে বাংলাদেশ সর্বস্বান্ত হবার পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। দেশে দুর্ভিক্ষাবস্থা চলছে। অর্থনীতি সর্বনাশের পথে। বিনিয়োগ বন্ধ, বেকারের সংখ্যা বাড়ছে দিনকে দিন। খুন-খারাবি, রাহাজানি হু হু করে বেড়ে চলেছে। খালেদা জিয়া ঠিকই বলেছেন, গোড়ায় বিপুল জনপ্রিয়তা থাকলেও এ সরকারের জনপ্রিয়তা এখন শূন্যেরও নিচে। বিএনপি নেত্রী ও তিন মেয়াদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, জুন মাসের মধ্যে জরুরি অবস্থা তুলে নিয়ে অক্টোবরের মধ্যে সংসদ নির্বাচন করা দেশের তো বটেই, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্যেও ভালো হবে। ড. কামাল হোসেন যদি রাজনীতিক হিসেবেও কিছু মানুষের সমর্থন চান তাহলে তার উচিত হবে খালেদা জিয়ার উপরোক্ত দাবিগুলোর সপক্ষে ওয়াজ করা। [লেখক : স্বাধীনতা যুদ্ধের সপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রচার ফ্রণ্টে অসামান্য ভূমিকার জন্য বিবিসি খ্যাত, একুশে পদক বিজয়ী লন্ডন প্রবাসী প্রবীণ বাংলাদেশী সাংবাদিক]

 

http://www.daily-dinkal.com/details.php?nid=20406&pubdate=2008-06-19
অদক্ষ তত্ববধায়কদের জন্য দেশের প্রতিদিনের ক্ষতি কত কোটি টাকা?

__._,_.___
MARKETPLACE

Special offer for Yahoo! Groups from Blockbuster! Get a free 1-month trial with no late fees or due dates.
Recent Activity
Visit Your Group
Yahoo! News

Kevin Sites

Get coverage of

world crises.

Yahoo! Finance

It's Now Personal

Guides, news,

advice & more.

Yahoo! Groups

Find balance

between nutrition,

activity & well-being.

.

__,_._,___