Banner Advertise

Tuesday, September 16, 2008

[vinnomot] What was the agend aof Secret meeting in the Grameen bank building?


কি ছিল গ্রামীণ ব্যাংক ভবনে গোপন বৈঠকের এজেন্ডা?
মোঃ ফরহাদ হোসেন
ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী ও বর্তমান কংগ্রেসনেত্রী সোনীয়া গান্ধীর তনয় রাহুল গান্ধী। ভারতীয় লোকসভার প্রভাবশালী সদস্য। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা তিনিই হবেন তার দেশের ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রী। তাই ভারতের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে জেড-প্লাস পেয়ে থাকেন। এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিটি গত ১ আগষ্ট বাংলাদেশে এসেছিলেন।ভারতীয় জেট এয়ারলাইনের একটি বিমানে তিনি ঢাকা পৌঁছেন বেলা ৩টা ২০ মিনিটে। তাকে স্বাগত জানান নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ ড.মুহম্মদ ইউনূস। এ সময় সরকারের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। যদিও এটি ছিল বেসরকারি সফর। তাই সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকা কতটা যুক্তিযুক্ত হয়েছে তারাই ভালো বলতে পারবেন।

রাহুল গান্ধীর আগমন উপলক্ষে জিয়া বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্চে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। ব্র্যাক ও গ্রামীণ ব্যাংকের কয়েকটি প্রকল্প পরিদর্শনের জন্য পাঁচ দিনের ব্যক্তিগত সফরে আসেন রাহুল গান্ধী। গাজীপুর এবং মানিকগঞ্জে ব্র্যাক ও গ্রামীণব্যাংকের কয়েকটি কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি সাধারণ মানুষের সাথে গভীর ভাবে মিশেন। গাজীপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চায়ের দোকানে বসে চা পান তাই প্রমাণ করে।

তার বক্তব্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সর্ম্পকে তিনি যে ধারণা পেয়েছিলেন তা ভুল।বরং এই দেশ অনেক সুন্দর। মানুষ গুলো খুব সহজ সরল। সবার সাথে খোলা মন নিয়ে মিশতে পারে। সকলে বেশ কর্মঠ। একথায় বলা যায় তরুণ এই নেতা বাংলাদেশকে খুব পছন্দ করেছেন। দেশের মানুষও তাকে বিমূখ করেনি। যেখানেই গিয়ছেন,সেখানেই পেয়েছেন প্রাণঢালা অভিনন্দন। আমরা সকলে তাকে স্বাগত জানাই।

কিন্তু একটি ঘটনা এই স্বাগত জানানোকে দ্বিধাগ্রস্থ করে ফেলে। গত ৫আগষ্ট দেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিকের প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, রাহুল গান্ধীর সাথে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) কর্মকর্তা ও সমমনা বুদ্ধিজীবীদের দেড় ঘন্টারও বেশি সময় এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মিরপুরের গ্রামীণ ব্যাংক ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠক সম্পর্কে কেউ মুখ খুলতে রাজী হয়নি। বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সোয়া ৬টা পর্যন্ত এ বৈঠক চলে।

বৈঠকে প্রফেসর ড. মুহম্মদ ইউনূস, ড. রেহমান সোবহান, ড.মোস্তফিজুর রহমান, আনিসাতুল ফাতিমা ইউসুফ, ড.ফাহমিদা বেগম, উত্তম কুমার দেব, ড. গোলাম মোয়াজ্জেম, ব্যবসায়ী নেতা সৈয়দ মনজুরে এলাহী, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ট্রান্সকমের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর বদিউল আলম মজুমদার, এফবিসিসিআই এর সভাপতি আনিসুল হক, সিপিবি নেতা এম এম আকাশ, ভারতীয় হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী, ডেপুটি হাইকমিশনার মুক্তাদত্ত তমার ও রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সবচেয়ে উল্লেখ যোগ্য ব্যপার হলো,বৈঠকের আগে টিভি ক্যামেরাম্যান এবং সাংবাদিকদের বের করে দেয়া হয়। তখন স্বাভাবিক ভাবেই সকলের মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়।বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে ড. মুহম্মদ ইউনূস বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গোপনীয়। এ সম্পর্কে বলা নিষেধ আছে। তিনি জানান, বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে কিছুই বলা যাবে না। ব্যক্তিগত সফরে এসে গান্ধী পরিবারের তরুণ এই সদস্যের সাথে একটি নির্দিষ্ট ঘরনার ব্যবসায়ী ও বুদ্ধিজীবী গোষ্ঠীর গোপন এই বৈঠকের আয়োজক গ্রামীণ ব্যাংক হলেও বাস্তবে ভারতীয় হাইকমিশনের মধ্যস্থতায় তা অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের কোন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না। যদিও তারাও রাহুল গান্ধীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।

অবাক ব্যপার হলো বিষয়টি নিয়ে কোন মিডিয়া এখনও পর্যন্ত কিছুই বলনি। অথচ ছোট-খাট যে কোন বিষয় নিয়ে মিডিয়া যেভাবে হামলে পড়ে, এখেত্রে সেরকম কিছুই পরিলক্ষিত হয়নি। তাহলে কি আমরা ভেবে নেব মিডিয়া নিরব ভূমিকা পালন করেছে। দেশের প্রতি তাদের কোন দায়িত্ব বোধ তাদের নেই। গত বছর সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান এর বাসায় ব্যক্তিগত বৈঠক নিয়ে মিডিয়া যে প্রচারণা চালিয়ে ছিল তাতে মনে হয়েছে তিনি বোধ হয় দেশটাকে এখনই ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছেন। অথচ যে বৈঠক থেকে সাংবাদিকদের বের করে দেয়া হলো সে সম্পর্কে যেন কোন মাথা ব্যথা নেই।

আসলে একটি নির্দিষ্ট ঘরনার বুদ্ধিজীবিদের বৈঠক সম্পর্কে দেশের মিডিয়া বরাবরই নিরব ভূমিকা পালন করে। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হলে তাদের যেন কোন দায়বদ্ধতা নেই। এথেকে প্রমাণিত হয় মিডিয়াও তাদের কথা শুনে। অথচ মিডিয়ার কি উচিত ছিল না গোপন এ বৈঠকের রহস্য উদঘাটন করা।

এরা তো সেই বুদ্ধিজীবি যারা গত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র বানানোর জন্য বুদ্ধিবৃত্তিক ষড়যন্ত্র চালিয়েছিল। বৈঠকে উপস্থিত পত্রিকার সম্পাদক সাহেবতো জরুরি অস্থাকে সমর্থন জানিয়ে বলেছিলেন,এটি সাংবাদিকদের লেখনির ফসল। অথচ কে না জানে জরুরি অবস্থা যেকোন দেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর। আর সিপিডি বরাবরই জোট সরকারের অর্থনৈতিক অর্জন গুলোকে অস্বিকার করে নিজেদের মনমত তথ্য-উপাত্ত দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। তাদের এই হঠকারিতাকে মানতে না পেরে জোট সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা মামলা ঠুকে দিয়েছিলেন।

যারা সরকারের বিরোধিতা করে দেশের অর্জনকে অস্বিকার করে তারা আর যাই হোক দেশপ্রেমিক হতে পারেনা। তাদের গোপন বৈঠক কখনও দেশের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে না। জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে তারা তাদের উদ্দেশ্য কিছুটা হলেও সফল করেছে। এখন বাকি উদ্দেশ্য সফল করার জন্য এই গোপন বৈঠক। দেশকে পুরোপুরি তাবেদার বানানোর পায়তারা। একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, মিডিয়া কিছু বলুক আর নাই বলুক দেশের জনগণ এখন অনেক সচেতন। পূর্বের মত বর্তমানেও যে কোন ষড়যন্ত্র তারা রক্তের বিনিময়ে হলেও মুকাবেলা করবে।
 
© Sonar Bangladesh, 2002-2008, Dhaka, Bangladesh. E-mail: editor@sonarbangladesh.com. Last updated on September 6, 2008

আল্লাহ যাকে যখন ইচ্ছা ক্ষমতা দান করেন,মাইনাস টু ফরমুলায় তাই হাসেন
http://www.microscopiceye.blogspot.com/

__._,_.___
Recent Activity
Visit Your Group
Yahoo! News

Get it all here

Breaking news to

entertainment news

Yahoo! Finance

It's Now Personal

Guides, news,

advice & more.

Y! Groups blog

the best source

for the latest

scoop on Groups.

.

__,_._,___