Banner Advertise

Thursday, July 24, 2008

[vinnomot] Moeen Kana Peer Habib , your suggestion would be complete if added ........

Moeen kana  peer shaheb,

 

 I am very pleased reading your  report or column or whatever you say ,published today in the  Amadershomoy regarding Yes uddin .

 

 It seems to me it is not complete. It would be complete how Yes uddin has illegally extended the term of  your favourite M . U Ahmed  in the interest of India , how illegally he is signing to all the ordinace being threatened by your favorite General who has refunded 66 lakh tk within one year.

 

 How he has obstructed  the way of others  in becoming   Chief of Army .  etc etc would make your write up complete.

 

 With regards

 

 Khaleda and hasina Kana


বঙ্গবভনের প্রধান ফটক খুলে বেরিয়ে আসুন রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করে পাপমুক্ত করুন রাষ্ট্রের প্রতীকী ভবনকে

 

 

পীর হাবিবুর রহমান:

রাষ্ট্রপতি আজ আমি আর আপনাকে মহামান্য বলতে পারছি না। এমন কোনও শ্রদ্ধার স্মৃতিচিহ্ন বিশাল বঙ্গভবনের আঙ্গিনায় রেখে যেতে পারেননি যে আমি আপনাকে অবনত মস্তকে গভীর শ্রদ্ধায় 'মহামান্য' শব্দটি জুড়ে সম্মান জানাতে পারবো। চলে গেলে বঙ্গভবনের দেয়ালজুড়ে আমি জানি আপনার ছবিটিও শোভা পাবে। তবে ইতিহাসে আপনার ছবিটি যেন মীরজাফর, খন্দকার মোশতাকের পাশেই শোভা পায়।

আজ আমার বুকে নেই জ্যোৎøা ও হাওরের জলতরঙ্গ। আষাঢ়ে পূর্ণিমা রাত চলে গেছে। ভাদ্র মাসের পূর্ণিমার রাতের আগে বঙ্গভবন না ছাড়লে কোনও প্রেমিকযুগল জ্যোৎøার হাওরে বজরায় ভাসবে না। আপনি জানেন বঙ্গভবনে কতদিন পড়েনি জ্যোৎøার আলো। সবুজ লন ধূসর হয়ে গেছে।

আমাদের রাষ্ট্রপতি আপনি। কি দুর্ভাগ্য আমাদের আপনি যেই বঙ্গভবনে ঢুকলেন অমনি অমাবশ্যার চাদরে মোড়া কবরের নিস্তব্ধতা নেমে এলো। থেমে গেলো পাখির কুজন। একপর্যায়ে আপনি একে করেছিলেন কাশিমবাজার কুঠিতে পরিণত।

কবরে মোমবাতির আলো জ্বলে। আপনার বঙ্গভবনে আলো চোখে পড়ে না। বিএনপির নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী নীতির সঙ্গে আপস না করার জন্য এই বঙ্গভবন থেকে মাথা উঁচু করে বেরিয়ে এসেছিলেন। রাষ্ট্রপতি পদকে তিনি দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে রাখতে চেয়েছিলেন। জাতি তখন জানতো না তার আসনে দুরু দুরু বক্ষে আপনি বঙ্গভবনে প্রবেশ করবেন একটি দলের কৃতদাস হিসেবে। আর আপনি আজ্ঞাবহ দাসের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কার জানাজায় যাবেন আর কার মাজারে যাবেন।

একজন শিক্ষক হয়ে আপনি যখন রাষ্ট্রদূতের চাকরির মোহে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গেছেন তখনও জানতেন না বঙ্গভবন আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। যখন জানলেন তখন আপনি কিংকর্তব্যবিমূঢ়। দেশবাসী অবাক। সংবাদকর্মীরা যখন বাড়ির ঠিকানা খুঁজে না পেয়ে অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদের শরণাপন্ন হয় তিনি তখন হতাশ কণ্ঠে বলেছিলেন, 'সবাই পাগল হয়ে গেছে।'

অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিয়াসহ সকলে অবাক হলেও আপনার বুকজুড়ে আনন্দ ঝরেছে। বঙ্গভবনের আলিশান বাড়ি, সবুজ লন, প্রধান ফটক দেখে আপনি অভিভূত হয়েছেন। শরীর চলুক আর না চলুক জীবনের বেশ ক'টা দিন আয়েশেই কাটিয়েছেন। বিদেশিনী বধূকে ছেড়ে এসে দেশে আর চেয়ে আর বেশি কি প্রাপ্য ছিল আপনার? আজ আমি ক্ষোভ মিম্রিত কণ্ঠে বলতে এসেছি আমার কথা। যদি আমার কল্পরাজ্যের সম্রাজ্ঞী 'মন্দিরা' এক তোড়া তাজা গোলাপের সঙ্গে উজ্জ্বল হাসি ছড়িয়ে দরাজ গলায় গেয়ে ওঠে 'তুমি কোন কাননের ফুল কোন গগনের তারা।' তবু আমার লেখা থামবে না।

নীতি ও নৈতিকতাহীন একজন রাষ্ট্রপতির ভূমিকায় থেকে আপনার তৃষ্ণার জল মেটেনি। বিএনপি সরকার বিদায় নিলে রাজপথে ভেসে যাওয়া রক্তের ওপর দিয়ে সংবিধানের পাঁচটি বিকল্প উপেক্ষা করে আপনি প্রধান উপদেষ্টার চেয়ার দখল করেছিলেন। কারণ আপনার তখন চাই চাই আরও চাই পারলে দেশটা শুদ্ধ গিলে খাই। আপনি আপনার স্ত্রীর জন্য যদি হƒদয় উজাড় করা ভালোবাসা রাখেন তাজমহল নাই বানান একালের শাহজাহান আমির হোসেন আমুর মতো বাকি ক'টা দিন স্ত্রীর সেবায় কাটিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু না, হাওয়া ভবন থেকে যে শিক্ষা আপনি নিয়েছেন তা বড় বেশি লোভনীয় ছিল। আর তাই স্ত্রী আনোয়ারার নামে সরকারি সম্পত্তি বন্দোবস্ত দিয়েছেন। বিএনপি সরকারের কাছ থেকে আপনি কবরস্থান দখলের মতো জায়গা দখল করেছেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে। যদি বলি বঙ্গভবনে বাস করে ভূমিদস্যু তা কি খুব অন্যায় হবে?

আপনি যদি প্রধানমন্ত্রী হতেন ৪৮ ঘণ্টায় যে দখলদারিত্ব দেখিয়েছেন পাঁচ বছরে তা কোথায় দাঁড়াতো হিসাব কষে হাওয়া ভবন আর আওয়ামী লীগের লুটেরাচক্র লজ্জায় অবনত মস্তকে বলতো 'সেলাম হুজুর সেলাম।' আপনি রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ২০০৪ সালে আপনার স্ত্রী প্রণয়ের বদলে মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুরের খালের অংশ বিশেষ অকৃষি খাসজমি দেখিয়ে বন্দোবস্তের আবেদন করলেন। প্রধানমন্ত্রী নাকচ করে দিলেন, চশমার ফ্রেমে আটকে পড়ে আপনার চোখের লজ্জা।

প্রধান উপদেষ্টার চেয়ার দখল করে নিয়েই উপেক্ষা করলেন রাজপথের সহিংসতা। স্ত্রী আনোয়ারা আহমদের নামে স্থায়ী বন্দোবস্ত দিয়ে দিলেন। শীতে রাতের পর রাত সংবাদকর্মীরা কুয়াশায় ভিজেছে বঙ্গভবনের বাইরে। চেয়েছে অচল অবস্থার অবসানে উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত হবে। দেশবাসী রাত জেগে টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রেখেছেন। অবরুদ্ধ জাতির দিকে না তাকিয়ে সেদিন আপনি হাওয়া ভবনের রিমোট কন্ট্রোলে চলেছেন। উপদেষ্টাদের বৈঠকে রেখে বিশ্রামের নামে চলে গেছেন শয্যায়। দীর্ঘ সময় পর এসে জানতে চেয়েছেন তারা এখনও কেনও বসে আছেন।

বাইরে অবরুদ্ধ রাজপথের খবর শুনে না জানার ভান করেছেন। উপহাস করেছেন উপদেষ্টাদের। মনে পড়ে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন সেই দিনগুলোর কথা? জাতির ওপর নেমে আসা ঘোর অন্ধকারকে আপনি কি পৈশাচিক উদাসীনতায়-আনন্দে উপেক্ষা করেছেন। আপনার নীতিহীনতার উদাহরণ টেনে সকল মহলেই একটি চুটকি মুখে মুখে ছড়িয়েছিল। চুটকিটি মাহী বি চৌধুরী ভালো বলেন। আবদুল জলিল একান্তে রাষ্ট্রপতিকে নাকি বলেছিলেন, 'মহামান্য রাষ্ট্রপতি আপনার সামনে অগ্নিপরীক্ষা। আপনি সিদ্ধান্ত নিন নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে নায়ক হবেন নাকি ইতিহাসে বিশ্বাসঘাতক মীরজাফর হবেন। কানে কানে ইয়াজউদ্দিন জলিলকে বলেছিলেন, 'আমার ওপর আস্থা রাখবেন। আমি আর যাই করি বিশ্বাসঘাতক মীরজাফর হতে পারব না। একজন শিক্ষক থেকে খালেদা জিয়া আমাকে রাষ্ট্রপতি বানিয়েছেন। আমার পক্ষে বেইমানি করা সম্ভব নয়।'

অবরুদ্ধ বাংলাদেশ, অচল জীবনযাত্রা, নিষ্ঠুর সহিংসতা, আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি, রাষ্ট্রপতির বিবেককে নাড়া দেয়নি। উপদেষ্টাদের সমঝোতার দৌড়ঝাঁপ নিষ্ফল হয়েছে রাষ্ট্রপতির কারণে। ডক্টর আকবর আলি, শফি সামির মতো নায়করা পদত্যাগ করলেও রাষ্ট্রপতি যেন মহানন্দে বলেছেন, 'শ্যামের বাঁশি বেজেছে নাটক শুরু হয়েছে।' নতুন উপদেষ্টার নামে ভাঁড় এনে জাতিকে হাসিয়েছেন। আর সবচেয়ে বড় লজ্জার বিষয় সবার বর্জনের পরও ব্যারিস্টার মওদুদের ভাষায় সংবিধানের দোহাই দিয়ে ইয়াজউদ্দিন জাতিকে শুনিয়েছেন ২২ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন হওয়ার কথা।

কূটনৈতিক মহলসহ সবাই উদ্বিগ্ন হয়েছে। দেশবাসী রক্তের বন্যার আশঙ্কায় বিচলিত হয়েছেন। ঘাম ঝরেছে সাধারণ মানুষের। একজন মানুষ মাত্র মানুষ বিচলিত হননি, তিনি আপনিই রাষ্ট্রপতি। ওয়ান ইলেভেন যখন দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ভূমিকায় তিন দিন আগের ভোল পাল্টে রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে প্রধান উপদেষ্টার পদ ছাড়লেন। নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলো জনতার হƒদয়ে সকালের সোনামাখা রোদ আনন্দে ডিগবাজি খেলো। হিমালয়ের মতো ভারি পাহাড় জনগণের বুক থেকে নেমে গেলো। জনগণ অভিনন্দন জানালো ওয়ান ইলেভেনের নায়কদের।

আজ যখন রাষ্ট্রপতির নামে ১৮ কোটি টাকার প্রকল্প মুন্সীগঞ্জ রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ করার ক্ষমতার অপব্যবহার হয়, স্ত্রীর নামে জায়গা বরাদ্দের দুর্নীতির প্রতিবেদন পড়তে হয় তখন মনে হয় বঙ্গভবন আর রাষ্ট্রপতিকে ওয়ান ইলেভেন অভিশাপমুক্ত করলেও ইতিহাসের পাতায় তার পাপ মোচন হয়নি। রাষ্ট্রপতি তার থিংক ট্যাংক ঢাবি ভিসি এসএমএ ফায়েজের কাছে কী পরামর্শ নিচ্ছেন জানি না, আমি শুধু বলবো পদত্যাগ করে এখনই বঙ্গভবনের প্রধান ফটক দিয়ে বেরিয়ে আসুন। আমাদের বঙ্গভবনকে পাপমুক্ত করুন। peerhabib.rahman@gmail.com

আল্লাহ যাকে যখন ইচ্ছা ক্ষমতা দান করেন,মাইনাস টু ফরমুলায় তাই হাসেন
http://www.microscopiceye.blogspot.com/

__._,_.___
Recent Activity
Visit Your Group
Yahoo! News

Kevin Sites

Get coverage of

world crises.

Yahoo! Finance

It's Now Personal

Guides, news,

advice & more.

Y! Messenger

Quick file sharing

Send up to 1GB of

files in an IM.

.

__,_._,___