Banner Advertise

Sunday, June 15, 2008

[vinnomot] GATCO CASE: Who is responsible for the loss of 14.5 crore? -1

কিভাবে কাজ পেয়েছিল গ্যাটকো (১)

সাড়ে ১৪ কোটি টাকা

ক্ষতির দায় কার?

আবুল কাশেম : গ্যাটকোকে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দেয়ার ফলে রাষ্ট্রের প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা অপচয়ের দায় কার? চুক্তির শর্তে রয়েছে, চুক্তির সময় এমনভাবে শর্ত আরোপ করতে হবে যাতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে বাধ্য হয়। তারা কাজ অসম্পূর্ণ বা অসমাপ্ত অবস্থায় ফেলে গেলে বা পরিত্যাগ করলে সরকারের যে ক্ষতি হবে তা পুষিয়ে নেয়ার মতো জামানতের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। এ শর্ত অনুসারে গ্যাটকোর সঙ্গে চুক্তির ফলে ক্ষয়ক্ষতির দায় বর্তায় গ্যাটকোর ওপর। তবে গ্যাটকো সময়মতো কাজ শুরু না করার কারণেই আর্থিক এই ক্ষতি হয়েছে। আর এক্ষেত্রে গ্যাটকো দেরিতে কাজ শুরুর অনুমতি চেয়ে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে আবেদন করলে কমিটি তা অনুমোদন করে। তাহলে কি ক্ষতির এই দায় ক্রয়সংক্রান্ত কমিটির মন্ত্রিসভা সদস্যদের? তবে গ্যাটকোর বিলম্বে কাজ শুরু করার আবেদনে মন্ত্রিসভা কমিটি যে অনুমোদন দিয়েছে তার জন্য ওই কমিটির সদস্যদেরও সরলপন্থায় দায়ী করা যায় না। কারণ, ক্রয় আইন অনুযায়ী সরল বিশ্বাসে করা কাজের জন্য কোন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা যায় না। তাহলে কি এ দায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার? ঠিকাদার হিসেবে ক্রয় কমিটির সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিলেও খালেদা জিয়া কিন্তু গ্যাটকোকে কাজ করার সময়সীমা বাড়িয়ে দেয়ার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তাহলে ক্ষতির এই দায়ভার কার, তা নিয়ে অভিজ্ঞদের মধ্যে কৌতূহল জেগেছে। এ অবস্থায় মামলা হওয়ায় দেশবাসী আদালতের কাছ থেকেই চূড়ান্ত নিষ্পত্তি আশা করছে। গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় ২৪ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। এর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, সাবেক মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, এম কে আনোয়ার, মতিউর রহমান নিজামী, এম. শামসুল ইসলাম সহ ১৭ জন কারাগারে আটক রয়েছেন। সংসদ ভবন এলাকার বিশেষ আদালতে এদের বিচারকাজ চলছে। এ মামলার অন্য আসামিরা পলাতক।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্যাটকো মামলার লিখিত এজাহারের ১৪ পৃষ্ঠায় দাবি করা হয়েছে, গ্যাটকো'র অনভিজ্ঞতা ও অদক্ষতার কারণে ঢাকা আইসিডি এবং চট্টগ্রাম বন্দরের সংরক্ষিত এলাকার আইসিডি'র কনটেইনার হ্যান্ডলিং কাজে বিঘœ ও বিলম্ব হওয়ায় সরকারের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ এক হাজার কোটি টাকারও বেশি। আর দুর্নীতি দমন কমিশন মামলার চার্জশিটে রাষ্ট্রের ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করেছে ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ছয় শ' ১৬ টাকা ৯২ পয়সা। চার্জশিটে বলা হয়েছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকো'র ২০০৪ সালের ২৪শে জুন থেকে কাজ শুরু করার কথা থাকলেও তারা ২০০৬ সালের ১লা এপ্রিল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে কাজ শুরু করে। মধ্যবর্তী এই ছয় শ' ৪৬ দিন দেরি করায় চারটি স্ট্রাডল ক্যারিয়ার (এস/সি) কোন কাজ করেনি। প্রতিদিন বিরামহীন ২৪ ঘণ্টা করে এসব যন্ত্র কাজ না করার কারণে রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়েছে পাঁচ কোটি ৮৬ লাখ দু' হাজার ছয় শ' ৩৯ টাকা ৩৬ পয়সা। একইভাবে ২০০৬ সালের ১লা এপ্রিল থেকে ২০০৬ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত চারটি এস/সি সরবরাহ না করার কারণে ক্ষতি হয়েছে ৬২ লাখ ৩৬ হাজার সাত শ' ৩৬ টাকা। এই সময়ে তিনটি এস/সি সরবরাহ করে যে কাজ করেছে তার মধ্যে যান্ত্রিক ত্র"টির কারণে ক্ষতি হয়েছে ৪৪ লাখ চার হাজার চার শ' ৫৮ টাকা ৫৬ পয়সা। চার্জশিটে থাকা এ তিনটি অপচয়ের হিসাব চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (পরিবহন) লে. কর্নেল এসএম ফিরোজ আহমদ গত ২৯শে অক্টোবর গ্যাটকো মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল হুদার বরাবর পাঠান। এছাড়া, চার্জশিটে উল্লেখ থাকা ক্ষতির মধ্যে রয়েছে ২০০৪ সালের ২রা ডিসেম্বর থেকে ২০০৬ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকার আইসিডিতে গ্যাটকো'র যন্ত্রপাতি অচল থাকার কারণে ক্ষতির পরিমাণ সাত কোটি নয় লাখ ৩১ হাজার এক শ' ৮৪ টাকা। কমলাপুর আইসিডি'র এ ক্ষতির হিসাব গ্যাটকো মামলা তদন্ত কর্মকর্তা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক বরাবর পাঠিয়েছেন কমলাপুর আইসিডি'র ডেপুটি ট্রাফিক ম্যানেজার মধুসূদন দাস। অন্যদিকে গ্যাটকো বিলম্বে কাজ শুরু করায় কমলাপুর আইসিডি'র আগের ঠিকাদার বেসিককে অতিরিক্ত অর্থ দিতে হয়েছে ৫৪ লাখ ৬২ হাজার পাঁচ শ' ৯৯ টাকা। ক্ষয়ক্ষতির এই হিসাব করা হয়েছে যন্ত্রগুলো প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা করে কাজ করলে কি পরিমাণ আয় হতো তার ভিত্তিতে। অথচ চুক্তি মোতাবেক দৈনিক ১৬ ঘণ্টা কাজ করার কথা। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, গ্যাটকো কাজ অসম্পূর্ণ বা অসমাপ্ত অবস্থায় ফেলে গেলে বা পরিত্যাগ করলে ক্ষতির দায় ওই কোম্পানির ওপর বর্তায়। তাহলে গ্যাটকোকেই সে দায়ভার বহন করতে হবে। তবে এই ক্ষয়ক্ষতির কারণে গ্যাটকো'র বিরুদ্ধে এখনও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে। এছাড়া গ্যাটকো ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন নিয়েই বিলম্বে কাজ শুরু করেছে বলে আর্থিক এই ক্ষতির পেছনে গ্যাটকো'র কোন দায় আছে কিনা তা বিবেচনার বিষয়। অন্যদিকে গ্যাটকো'র বিলম্বে কাজ শুরু করার আবেদনে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি যে অনুমোদন দিয়েছে তার জন্য ওই কমিটির সদস্যদেরও সরল পন্থায় দায়ী করা যায় না। কারণ পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকা সত্ত্বেও গ্যাটকো যথাসময়ে কাজ শুরু করলে কতটা সফলভাবে কাজ করতে পারতো তা-ও বিবেচনায় আনা প্রয়োজন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। এছাড়া পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬-এর ৬৯ ধারা অনুযায়ী সরল বিশ্বাসে করা কোন কিছুর জন্য সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন মামলা করা যাবে না। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ৩১ ধারায় বলা হয়েছে, সরল বিশ্বাসে করা কাজকর্মের জন্য কমিশন অথবা কমিশনের কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যাবে না। বাংলাদেশ দণ্ডবিধি আইনের চার অধ্যায়েও একই বিধানের কথা বলা হয়েছে। ক্রয় কমিটি ২০০৪ সালের ১৬ই ফেব্র"য়ারি গ্যাটকোকে নিয়োগের সুপারিশ করার বিষয়টি সরল বিশ্বাসে করা হয়েছে কিনা মামলার এজাহারে এ ব্যাপারে কোন কাগজপত্র নেই বলে জানা গেছে। এছাড়া, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রেগুলেশন ২০০৩, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ বা অন্য কোন আইনের কোন ধারা ভঙ্গ করা হয়েছে এজাহারে তারও উল্লেখ নেই বলে জানা গেছে। আর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়া গ্যাটকো'র বিলম্বে কাজ শুরু করার অনুমতি দেয়ার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তাই এ ক্ষতির দায়ভার স্বাভাবিকভাবেই খালেদা জিয়ার ওপর বর্তায় না বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এত ক্ষয়ক্ষতি এবং সমালোচনার পরও চুক্তি মোতাবেক গ্যাটকোই চট্টগ্রাম বন্দরে এবং ঢাকা আইসিডি ইয়ার্ডে এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অদক্ষ ও অনভিজ্ঞ বলা হলেও গ্যাটকো'র চুক্তি বাতিল করে যোগ্যতর কোন কোম্পানিকে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টাও করা হয়নি। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, চুক্তি মোতাবেক গ্যাটকো'র ২০০৪ সালের ২৪শে জুন কাজ শুরুর কথা থাকলেও পরে ঠিকাদারের আবেদনে এ সময় বাড়ানো হয় এবং গ্যাটকো ২০০৬ সালের ১লা এপ্রিল থেকে কাজ শুরু করে। এছাড়া, ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে কাজের বদলে টাকা এবং কাজ নেই, টাকা নেই ভিত্তিতে। তাই গ্যাটকো কোন কাজ না করলে তাকে এ বাবদ কোন মূল্যও দেয়া হয় নি। ক্ষতির এই হিসাবে গ্যাটকোকে কি পরিমাণ অর্থ দিতে হতো তারও কোন উল্লেখ নেই।

এছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যানুসারে, চট্টগ্রাম বন্দরের এবং ঢাকা আইসিডিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং সংক্রান্ত তথ্যে দেখা যায়, গ্যাটকো ২০০৩ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ছয় লাখ ২৪ হাজার পাঁচ শ' ৬০টি এবং ঢাকা আইসিডিতে ৬৬ হাজার ছয় শ' ৫১টি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে। ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে ছয় লাখ ৮৮ হাজার সাত শ' ৭১টি এবং ঢাকায় ৬৮ হাজার পাঁচ শ' ৬৭টি, ২০০৫ সালে চট্টগ্রামে সাত লাখ ৮৩ হাজার তিন শ' ৫৩টি এবং ঢাকায় ৭৮ হাজার ছয় শ' ৬০টি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে। এছাড়া, ২০০৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে আট লাখ ৭৬ হাজার এক শ' ৮৬টি ও ঢাকায় ৭৭ হাজার পাঁচ শ' ৬৭টি এবং ২০০৭ সালে চট্টগ্রাম বন্দর আইসিডি'র নয় লাখ ৫৮ হাজার ২০টি এবং ঢাকা আইসিডিতে ৮০ হাজার সাত শ' ১৪টি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। এসব তথ্যে স্বাভাবিকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, আইসিডিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং কাজে বিঘœ বা বিলম্বিত হয়নি। এছাড়া, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রচার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মদক্ষতার কথা বলছেন। গত পহেলা জানুয়ারি পত্রিকায় প্রচারিত ক্রোড়পত্রে চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মদক্ষতা বাড়ার বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়েছে। সেখানেও কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম দ্রুততর হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এসবই করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকো।
গ্যাটকো মামলায় ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তার ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার, এম শামসুল ইসলাম, মতিউর রহমান নিজামী, একেএম মোশাররফ হোসেন, সাবেক আমলা জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, কমোডর (অব.) জুলফিকার আলী, শাহাদাত হোসেন, এএম সানওয়ার হোসেন, একেএম রশীদউদ্দিন আহমেদ, আহমেদ আবুল কাশেম, লুৎফুল কবির, ইসমাইল হোসেন সায়মন, সৈয়দ গালিব আহমেদ প্রমুখ আদালতে আটক আছেন। আর বিএনপি নেতা এম সাইফুর রহমানসহ এ মামলার সাত আসামি পলাতক রয়েছেন।

 


অদক্ষ তত্ববধায়কদের জন্য দেশের প্রতিদিনের ক্ষতি কত কোটি টাকা?

__._,_.___
MARKETPLACE

Blockbuster is giving away a FREE trial of - Blockbuster Total Access.
Recent Activity
Visit Your Group
Yahoo! News

Fashion News

What's the word on

fashion and style?

Yahoo! Finance

It's Now Personal

Guides, news,

advice & more.

Y! Messenger

Want a quick chat?

Chat over IM with

group members.

.

__,_._,___