রাজনৈতিক আলোতে এরশাদ বি. চৌধুরী ও ড. কামাল
ডেস্ক রিপোর্ট : সৈয়দ মাহ্মুদ জামান: দুই সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ ও একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং ড. কামাল হোসেন ধীরে ধীরে রাজনৈতিক আলোয় উঠে আসছেন। তাদের নেতৃত্বে একটি নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে এ শক্তিটি জোটবদ্ধভাবে বা আলাদাভাবেও অংশ নিতে পারে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে নির্বাচনে অংশ নেয়া এবং একটি কোয়ালিশন সরকার গঠন করা। এ কর্মকাণ্ডে এরশাদ এবং বি. চৌধুরীর সঙ্গে অলি আহমেদের এলডিপি, কোরেশীর পিডিপি, আসম আব্দুর রবের ইউনিটি ফর রিফর্মস, সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম কল্যাণ পার্টি, কাদের সিদ্দিকীর কৃষক-শ্রমিক-জনতা পার্টিসহ সংস্কারপন্থীরাও আছেন। বর্তমান সরকারের সমর্থনকারী হিসেবে সবগুলো দলই এরইধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে। কামাল-এরশাদ-বি. চৌধুরী জোটের নির্বাচন পূর্ব একটি সরকার গঠন করারও সম্ভাবনা রয়েছে।
বিএনপি ও আওয়ামী লীগের যে সব নেতারা খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার মুক্তি দাবি করছেন, আদতে তারা শক্তিহীন। দুই নেত্রীর মুক্তির জন্য তারা চিৎকার করলেও নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য প্র¯'ত আছেন। শেখ হাসিনার মুক্তর জন্য গণসাক্ষর অভিযান ঢাকায় মোটামুটি সফল হলেও অন্য জেলাগুলোতে তা তেমন একট সাড়া ফেলতে পারেনি। তাই আওয়ামী নেতারা এ অভিযান বন্ধ করে তা জমা দেন। দলটির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল, সুরঞ্জিত এবং মতিয়া চৌধুরী বেশ গরম বক্তৃতা দিলেও আসলে তা ছিল লোক দেখানো। অপরদিকে বিএনপির দু'পক্ষই খালেদার মুক্তি দাবি করে আসছেন।
সরকার এ দুই নেত্রীকে মুক্তি দেয়ার ব্যপারে কিছুই করছে না, বরং 'মাইনাস টু' ব্যবহার করে দুই নেত্রীকে 'মাঠ' থেকে সরিয়ে রাখাই সরকারের মূল উদ্দেশ্য। মনে হচ্ছে দুই নেত্রীকেই দীর্ঘ সময়ের জন্য কারাগারে থাকতে হতে পারে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দুই নেত্রীর বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রতি বিস্বস্ত নেতারা তাদের সুর পরিবর্তন করবেন এবং টিকে থাকার জন্য নির্বাচনে অংশ নেবেন। প্রাক-সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো সরকারকে রোডম্যাপ অনুযায়ী ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানায় এবং তারা একটি সম্ভাব্য তারিখও জানতে চেয়েছে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ দাতা গোষ্ঠিরাও সরকারের কাছে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বলেছে। সরকার জানিয়েছে, রোডম্যাপ অনুযায়ীই নির্বাচন হবে। এদিকে সরকার এ বছরই উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার বিষয়ে বেশি জোর দিচ্ছে। এ বিষয়ে কামাল-এরশাদ-বি. চৌধুরী জোট তাদের সমর্থনও ব্যক্ত করেছেন। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাধারণ জনগণ এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির কারণে বিপর্যস্ত, নির্ধারিত সময় অনুযায়ী নির্বাচন না হলে গণবিক্ষোভের বিষয়টি উপেক্ষা করার উপায় থাকবে না। রাজনৈতিক দলগুলো এ সুযোগটি নিতে পারে, সেক্ষেত্রে দেশে পুনরায় অরাজকতার সৃষ্টি হবে এবং যার ফলে প্রধান উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্ট ও নির্বাচন কমিশনারকেও পদত্যাগ করতে হতে পারে।
ইংরেজি সাপ্তাহিক প্রোবে প্রকাশিত আনোয়ার পারভেজ হালিমের 'এরশাদ, বি চৌধুরী, ড. কামাল ব্যাক ইন ফোকাস?' পত্রিবেদন অবলম্বনে। সম্পাদনা: সুদীপ ঘোষ
তত্ববধায়কদের তাবেদারদের জুতা দিয়ে পিটাও, জেলে যাও, তিনবেলা নিশ্চিন্তে খাও
Be a better friend, newshound, and know-it-all with Yahoo! Mobile. Try it now.
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch format to Traditional
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe
.
__,_._,___