ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে কয়েক দফা সংঘর্ষ
ইউনিভার্সিটি রিপোর্টার
ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় এক ছাত্রী লাঞ্ছনার শিকার হন Ñযাযাদি
ইউনিভার্সিটি রিপোর্টার
ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় এক ছাত্রী লাঞ্ছনার শিকার হন Ñযাযাদি
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে গতকাল ছাত্রলীগের মূলধারা ও সংস্কারপন্থী নেতাকর্মীদের মধ্যে দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দৈনিক দিনকালের ইউনিভার্সিটি রিপোর্টার ও ছাত্রলীগের ইউনিভার্সিটি শাখার এক নেত্রীসহ আটজন আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হসপিটালে ট্রিটমেন্ট দেয়া হচ্ছে। আহতদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঢাকা ইউনিভার্সিটির প্রোভিসি প্রফেসর আ ফ ম ইউসুফ হায়দারকে প্রধান করে পাচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছে কর্তৃপক্ষ। ভিসি গতকাল সন্ধ্যায় ডিনস ও প্রভোস্ট কমিটির জরুরি মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেন।
শনিবার রাতে আরেক ঘটনায় দৈনিক প্রথম আলোর ইউনিভার্সিটি রিপোর্টার আনোয়ার হোসেন আনুকে জসীমউদদীন হলের ছাত্রদল নেতা তুহিন, লেনিন ও সবুজ মারধর করেছে। দৈনিক দিনকালের ইউনিভার্সিটি রিপোর্টার জাহেদুর রহমান আরমান ও প্রথম আলোর ইউনিভার্সিটি রিপোর্টার আনুর ওপর হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকতা বিভাগ দুপুরে মৌন মিছিল করে। তিন দিনের মধ্যে দোষীদের শাস্তি দাবি করে ভিসির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে সাংবাদিক সমিতি।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত থেকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ বিভিন্ন হলে মুখোমুখি অবস্থান করছিল। মল চত্বরে শনিবার রাতেই দুই গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় কে বা কারা আইইআর ভবনের সামনে দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে কেউ আহত হয়নি।
শেখ হাসিনার মুক্তি দাবিতে গতকাল ছাত্রলীগের পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ছিল। দুই গ্রুপই এ মিছিল-সমাবেশে অংশ নেয়। সমাবেশে আগের রাতের উত্তেজনার রেশ দেখা যায়। অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্রলীগ এ সমাবেশ করে। সমাবেশের সামনে দাড়ানোকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেত্রী সীমা ইসলামের সঙ্গে মূলধারার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সীমা ছাত্রলীগের এক পুরুষ কর্মীকে চড় মারে।
সমাবেশ শেষে সীমা ও সংস্কারপন্থী নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এসে পৌছলে মূলধারার নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে মূলধারার নেতাকর্মীরা সীমার ওপর চড়াও হয়। এ সময় তারা সীমাকে মাটিতে ফেলে বাশ দিয়ে পেটায়।
দৈনিক দিনকালের ইউনিভার্সিটি রিপোর্টার জাহেদুর রহমান আরমান পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে ছাত্রলীগ তাকে বেদম প্রহার করে।
এরপর শুরু হয় মূলধারা ও সংস্কারবাদী নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও পনিরের নেতৃত্বে ১০০-এরও বেশি ক্যাডার ক্যাম্পাসে সশস্ত্র মহড়া দেয়। এ সময় রড, হকিস্টিক, লাঠি ও বাশ নিয়ে তারা ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ায়। ছাত্রলীগের সংস্কারবাদী অংশের এ নেতাকর্মীরা যেখানেই পার্টির মূলধারার নেতাকর্মী পেয়েছে সেখানেই তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে ছাত্রলীগ কর্মী রিয়াজউদ্দীন সুমন ও উৎপল আহত হন। সংস্কারবাদীরা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি কমিটির বিরোধিতা করছে।
কলা ভবন, লাইব্রেরির সামনে, মল চত্বর , মধুর ক্যান্টিন, টিএসসি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে ঘটে সংঘর্ষের ঘটনা। এদিক-ওদিক দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেয় সাধারণ স্টুডেন্টরা। কয়েক ঘণ্টা ধরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলেও ক্যাম্পাসের কোথাও পুলিশ ছিল না।
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার শেষ পর্যায়ে টিএসসি এলাকায় কিছু পুলিশ এলেও তাদের সামনেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে রড, হকিস্টিক, চাপতি ও দা নিয়ে ঘুরে বেড়ায় তারা।
ঢাকা ইউনিভার্সিটির প্রোভিসি প্রফেসর আ ফ ম ইউসুফ হায়দারকে প্রধান করে পাচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছে কর্তৃপক্ষ। ভিসি গতকাল সন্ধ্যায় ডিনস ও প্রভোস্ট কমিটির জরুরি মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেন।
শনিবার রাতে আরেক ঘটনায় দৈনিক প্রথম আলোর ইউনিভার্সিটি রিপোর্টার আনোয়ার হোসেন আনুকে জসীমউদদীন হলের ছাত্রদল নেতা তুহিন, লেনিন ও সবুজ মারধর করেছে। দৈনিক দিনকালের ইউনিভার্সিটি রিপোর্টার জাহেদুর রহমান আরমান ও প্রথম আলোর ইউনিভার্সিটি রিপোর্টার আনুর ওপর হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকতা বিভাগ দুপুরে মৌন মিছিল করে। তিন দিনের মধ্যে দোষীদের শাস্তি দাবি করে ভিসির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে সাংবাদিক সমিতি।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত থেকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ বিভিন্ন হলে মুখোমুখি অবস্থান করছিল। মল চত্বরে শনিবার রাতেই দুই গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় কে বা কারা আইইআর ভবনের সামনে দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে কেউ আহত হয়নি।
শেখ হাসিনার মুক্তি দাবিতে গতকাল ছাত্রলীগের পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ছিল। দুই গ্রুপই এ মিছিল-সমাবেশে অংশ নেয়। সমাবেশে আগের রাতের উত্তেজনার রেশ দেখা যায়। অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্রলীগ এ সমাবেশ করে। সমাবেশের সামনে দাড়ানোকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেত্রী সীমা ইসলামের সঙ্গে মূলধারার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সীমা ছাত্রলীগের এক পুরুষ কর্মীকে চড় মারে।
সমাবেশ শেষে সীমা ও সংস্কারপন্থী নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এসে পৌছলে মূলধারার নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে মূলধারার নেতাকর্মীরা সীমার ওপর চড়াও হয়। এ সময় তারা সীমাকে মাটিতে ফেলে বাশ দিয়ে পেটায়।
দৈনিক দিনকালের ইউনিভার্সিটি রিপোর্টার জাহেদুর রহমান আরমান পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে ছাত্রলীগ তাকে বেদম প্রহার করে।
এরপর শুরু হয় মূলধারা ও সংস্কারবাদী নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও পনিরের নেতৃত্বে ১০০-এরও বেশি ক্যাডার ক্যাম্পাসে সশস্ত্র মহড়া দেয়। এ সময় রড, হকিস্টিক, লাঠি ও বাশ নিয়ে তারা ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ায়। ছাত্রলীগের সংস্কারবাদী অংশের এ নেতাকর্মীরা যেখানেই পার্টির মূলধারার নেতাকর্মী পেয়েছে সেখানেই তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে ছাত্রলীগ কর্মী রিয়াজউদ্দীন সুমন ও উৎপল আহত হন। সংস্কারবাদীরা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি কমিটির বিরোধিতা করছে।
কলা ভবন, লাইব্রেরির সামনে, মল চত্বর , মধুর ক্যান্টিন, টিএসসি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে ঘটে সংঘর্ষের ঘটনা। এদিক-ওদিক দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেয় সাধারণ স্টুডেন্টরা। কয়েক ঘণ্টা ধরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলেও ক্যাম্পাসের কোথাও পুলিশ ছিল না।
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার শেষ পর্যায়ে টিএসসি এলাকায় কিছু পুলিশ এলেও তাদের সামনেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে রড, হকিস্টিক, চাপতি ও দা নিয়ে ঘুরে বেড়ায় তারা।
ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের হাতে সাংবাদিক মারধরের ঘটনার প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তি দাবি করে ভিসির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে সাংবাদিক সমিতি।
এর আগে সাংবাদিক সমিতির এক জরুরি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়া হয়।
হামলার প্রতিবাদে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের কোনো পজিটিভ সংবাদ পরিবেশন করবে না বলে মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আজ হামলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল করবে সাংবাদিক সমিতি।
জসীমউদদীন হলে গত সপ্তাহে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনা তদন্তে হল প্রভোস্ট তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন। কমিটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় জীবন ও সোহাগ নামে ছাত্রলীগের সংস্কারবাদী গ্রুপের দুই কর্মীকে বহিষ্কার করেছে। এ নিয়ে গত শনিবার রাতে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়। বিভিন্ন হলের মূলধারা ও সংস্কারবাদী গ্রুপের নেতাকর্মীরা পৃথকভাবে ক্যাম্পাসে মহড়া দেয়। রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়। গতকাল সারা দিন এ নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
অনাহারে প্রতিটি মৃত্যূর জন্য ফখরুদ্দিন আর মঈনের বিরুদ্ধে একটি করে খুনের মামলা করতে হবে ।
-Would Be Mahathir of BD
Be a better friend, newshound, and know-it-all with Yahoo! Mobile. Try it now.
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch format to Traditional
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe
.
__,_._,___